ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যে আদর্শ দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম দিয়ে গেছেন সে আদর্শের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে পারলেই এটি তার সোনার বাংলা হবে। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের আন্দোলনের সুফল পেতে রাজনৈতিক আদর্শ খোঁজার জন্য চেষ্টা করার দরকার হবে না, তার আদর্শ বঙ্গবন্ধুরই আদর্শ।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে শহীদজননী জাহানারা ইমামের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ও জাহানারা ইমামের আন্দোলন শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজনৈতিক আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতবর্ষে একমাত্র ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা তুলে ধরে বলেন, জাতির পিতা অসাধারণ ধ্যান ধারনা কল্পনা করাও কঠিন। তিনি তার চারপাশের সাম্প্রদায়িকতাকে জয় করে ভাষা রাষ্ট্ প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতার দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি ছিল সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার জন্য একটি কার্যকর কর্মসূচি। অথচ বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের যে কর্মসূচিটি ঘোষণা করেছিলেন, আমরা পারত পক্ষে তা আলোচনার পাদপীঠে আনতে চাই না, এর ক্ষতিটা আমাদেরই হচ্ছে, বলেন মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন একটি মজার বিষয় হচ্ছে, পূঁজিবাদী দুনিয়া থেকে প্রণীত এসডিজি‘র লক্ষ্যমাত্রায় এক, দুই বা দশের অভীষ্ট লক্ষ্যসমূহের মূল বিষয় হচ্ছে শোষণ-দারিদ্র ও বৈষম্য হীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি বস্তুত শোষণ-বঞ্চনা-বৈষম-দারিদ্রহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মসূচি।।
মন্ত্রী বলেন, সংবিধানে বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় মূল চার নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়িত হবে। এর কোন একটাকেও বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারব না আমরা।
মোস্তাফা জব্বার বলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পতাকা হাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গত দশ বছরের শাসনে বিশ্ব আজ এক নতুন বাংলাদেশ দেখছে। তলাবিহীন ঝুড়ি কিংবা বন্যা খড়াসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগখ্যাত দারিদ্রক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত দশ বছরের বাংলাদেশ উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে আজ ভারত-পাকিস্তান এমনকি এশিয়ার বহু দেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন,তথ্য প্রযুক্তি দুনিয়ায় বাংলাদেশ আজ নেতৃত্বের গৌরবের জায়গায় পৌছেছে। অগ্রগতির এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের বাংলাদেশ হবে দারিদ্রমূক্ত বাংলাদেশ। ২০৪১ সালে বিশ্বে উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবে বাংলাদেশ। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবীর অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরির সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, রিজিউনাল এন্টি টেররিস্ট রিসার্স ইনস্টিটিউটের নির্বাহী সভাপতি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.), সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক তানবির হাসান জোহা এবং অন-লাইন এক্টিভিস্ট মারুফ রসুল বক্তৃতা করেন।