আমরা অনেকেই গান শুনতে কিংবা বিভিন্ন কাজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা ইয়ারফোন ব্যবহার করছি। অনেকেই রাস্তার কোলাহল, বাসের হর্নের আওয়াজ এড়াতে ইয়ারফোনের ব্যবহার করেন। যদি অভ্যাস এমনই হয়, তাহলে এখনি সাবধান হওয়ার সময় এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘক্ষণ ইয়ারবাড কানে রাখলে কানের ভেতর আর্দ্রতা বেড়ে যায়। ফলে সেখানে জীবাণুর সংক্রমণ হয়। তাই ইয়ারফোন ব্যবহার করার সময় মাঝে ব্রেক নিতে পারেন। নিজের ইয়ারফোন অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।
এছাড়া শ্রবণশক্তি ভালো রাখতে ইয়ারফোনের সাউন্ড কম রাখার চেষ্টা করুন। সাধারণ সর্বোচ্চ ভলিউমের ৬০ শতাংশর বেশি রাখবেন না। অনেকেই কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে ইয়ারফোনের সাউন্ড অত্যধিক বাড়িয়ে দেন। ফলে কানের ক্ষতি পারে। এ পরিস্থিতিতে অ্যাকটিভ নয়েজ ক্যানসেলেশন ফিচারযুক্ত ইয়ারফোন ব্যবহার করতে পারেন। এ ফিচারযুক্ত ইয়ারফোন বাইরের শব্দ খুব সহজেই এড়িয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে নিয়মিত ইয়ারফোন পরিষ্কার রাখুন। যেন জীবাণুর সংখ্যা বাড়তে না পারে।
সম্ভব হলে ইয়ারবাডের পরিবর্তে ওভার ইয়ার হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এগুলো সাউন্ড সমানভাবে বিতরণ করে। ইয়ারফোন থেকে সৃষ্ট ইলেকট্রম্যাগনেটিক তরঙ্গ মস্তিষ্কের জন্য গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। ব্লুটুথ ইয়ারফোন ব্যবহারকারীদের এক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। মনে রাখবেন, কানের সঙ্গে মস্তিষ্কের যোগাযোগ কিন্তু সরাসরি।