ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাপান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ন্ত্রণের নীতিনির্ধারণে সহযোগিতার সম্ভাব্য পথ অনুসন্ধান করছে। সেজন্যে ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জোরোভা ও জাপানি কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন। তাদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল জেনারেটিভ এআইকে কীভাবে আইনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও নৈতিক মূল্যবোধের জায়গায় নিশ্চিত করা যায়। খবর রয়টার্স।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এআই অ্যাক্ট”সম্পর্কিত আলোচনায় সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে এআইয়ের জন্য বৈশ্বিক মান প্রতিষ্ঠা করা। জাপান এআই নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাড়াও জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারির ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করেছে। এর মধ্যে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইইউর প্রতিরক্ষা, ইলেকট্রনিকস ও অটোমোটিভ খাতের জন্য জাপানের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন সেক্টরটি অফিশিয়াল অংশীদার হয়ে উঠেছে। এআই-ভিত্তিক উন্নত চিপ বিকাশের মাধ্যমে জাপান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্য তৈরি করেছে।
এ অংশীদারিত্ব সম্পর্কের মধ্যে রয়েছে কোয়ান্টাম ও উচ্চ পারফরম্যান্সসম্পন্ন কম্পিউটিং, একাডেমিকদের জন্য সুপার কম্পিউটার তৈরি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও জেনারেটিভ এআইকে আরো প্রযুক্তিগত প্রসার ঘটানো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপান আর্কটিক মহাসাগরের মধ্য দিয়ে সমুদ্রের নিচে কেবল লাইন বসানোর চেষ্টা করছে, যা সফল হলে ডাটা ট্রান্সফারের গতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা উন্নত হওয়ার কারণে এ অংশীদারিত্বকে অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য চমৎকার”হিসেবে বর্ণনা করেছে ইউরোপীয় কমিশনার থিয়েরি ব্রেটন। উভয় পক্ষ পরবর্তী প্রজন্মের (সিক্স জি) কমিউনিকেশনের স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে আলোচনা করছে। তারা উন্মুক্ত ও সুরক্ষিত যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
তাদের তৈরি ‘এআই অ্যাক্ট’ এআই প্রয়োগবিষয়ক সম্ভাব্য ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি এআই ও জেনারেটিভ এআই সম্পর্কিত নৈতিক, আইনি এবং অন্যান্য উদ্বেগের সমাধানে বিশ্বের প্রথম আইন হতে চলেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের মধ্যে সহযোগিতার এ প্রয়াস বিশ্বব্যাপী এআই-বিষয়ক গুরুত্ব তুলে ধরবে।