দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের আওতাধীন ইস্ট ব্যাংক সার্ভিস এরিয়ায় (ইবিএসএ) ১ হাজার ১৮২ টন ভিআরএফ, আরএসি ও লাইট কমার্সিয়াল টাইপ এসি সরবরাহ ও স্থাপন করবে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। এই লক্ষে বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল প্রকল্প কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্প কর্তৃপক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভীর আনজুম, ওয়ালটন এসির ডেপুটি চীফ বিজনেস অফিসার (ডিসিবিও) সন্দীপ বিশ্বাস, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আহমেদ তানভীর, অপারেটিভ ডিরেক্টর মো. মুহাইমিনউল বারি, ডিপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর আসাদুজ্জামান, সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর আবুল বাশার, ডিপুটি ডিরেক্টর মোখলেসুর রহমান (মামুন) প্রমুখ।
ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তানভীর আনজুম বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল বাংলাদেশের গৌরবের অংশ। বঙ্গবন্ধু টানেল বাস্তবায়নকারী চায়না প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রকল্পের আওতাধীন ইস্ট ব্যাংক সার্ভিস এরিয়ায় ১ হাজার ১৮২ টন এসি সরবরাহের চুক্তি করেছে ওয়ালটন। এই টানেল প্রকল্পের সাথে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য নিয়ে ওয়ালটনের যুক্ত হওয়া অত্যন্ত গৌরবের।
ওয়ালটন এসি’র ডিসিবিও সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশের টানেল প্রকল্পে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ওয়ালটনের ভিআরএফ, আরএসি ও লাইট কমার্সিয়াল টাইপ এসি স্থাপন করা হবে। নিঃসন্দেহে এটি ওয়ালটনের জন্য এক গৌরবজনক অর্জন।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের নিজস্ব আন্তর্জাতিকমানের এসি ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্টস এ সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী, টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন স্পিøট, ক্যাসেট, সিলিং টাইপ এসিসহ ভিআরএফ এসি উৎপাদন করা হচ্ছে। দেশের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি ওয়ালটনের তৈরি এসি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে।