ডিজিটাল বাংলাদেশের অংশীদারত্বে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে কার্যালয় চালু করল ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালেস এলিনিয়া স্পেস। বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সিস্টেম সরবরাহ করেছিল ফরাসি এই প্রতিষ্ঠান।
থ্যালেস স্পেস জানায়, গত ১১ অক্টোবর ঢাকায় নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুয়ের বাসায় এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কার্যালয়ের ফলক উন্মেচন করা হয়।
বাংলাদেশে থ্যালেসের কান্ট্রি ডিরেক্টর বেনোয়া নালিন বলেন, “বাংলাদেশে থ্যালেসের অফিস চালু করা একটা মাইলফলক বলে আমি মনে করি। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহক এবং অংশীজনদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে সক্ষম হব।”
“গত কয়েক বছরে আমরা বাংলাদেশে এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি এবং যন্ত্রপাতি সরবরাহের জন্য বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছি। স্যাটেলাইট, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল, প্রতিরক্ষা, ডিজিটাল আইডেন্টিটি সেক্টর এবং সাইবার সিকিউরিটি ক্ষেত্রে প্রমাণিত অভিজ্ঞতা সঙ্গে নিয়ে থ্যালেস ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য ও আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছে।”
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে অন্তর্ভূক্তিমূলক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সেবা এবং জ্ঞান ও উদ্ভাবনভিত্তিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করে বিশেষজ্ঞ, শিল্প এবং সরকারের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করতে চায় ফরাসি এই কোম্পানি।
এই লক্ষ্য বাস্তবে রূপ দিতে নিবিড় সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি গ্রাহকসেবা দেয়ার লক্ষ্যে তালিস বাংলাদেশে তাদের প্রথম অফিস চালু করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
অফিসের ফলক উন্মোচনের সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া-ল্যাটিন আমেরিকা অঞ্চলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট গাই বোনাসি এবং প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক এবং অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সিস্টেমের নকশা তৈরির জন্য ২০১২ সালের মার্চে প্রকল্পের মূল পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল’। এরপর এক হাজার ৯৫১ কোটি ৭৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকার চুক্তিতে স্যাটেলাইট সিস্টেম কেনা হয় ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালেস এলিনিয়া স্পেস থেকে।
২০১৮ সালের ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালে কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট মহাকাশে সফল যাত্রা করে। আর এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের স্বত্বাধিকারী ক্লাবে নাম লেখায়।