পৃথিবীর শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গুগল নতুন স্মার্টওয়াচ এনেছে। নাম গুগল পিক্সেল ওয়াচ টু। এই ওয়াচের দাম বেশ চড়া। তবে লঞ্চিং অফারে এই ঘড়ির উপরে থাকছে আকর্ষণীয় ছাড়। আপনি যদি পিক্সেল এইট ফোনটি কেনেন তাহলে স্মার্টওয়াচটি ডিসকাউন্টেড প্রাইসে পেয়ে যাবেন।
এর আগের প্রজন্ম অর্থাৎ প্রথম পিক্সেল ঘড়িতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিল সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টটি। গুগল পিক্সেল এইট সিরিজের সঙ্গেই এই নতুন স্মার্টওয়াচটি লঞ্চ করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই আবার নিয়ে আসা হয়েছে একটি ওয়্যারলেস ইয়ারবাড, যার নাম পিক্সেল বাডস প্রো।
পলিশড্ সিলভার/বে, ম্যাট ব্ল্যাক/অবসিডিয়ান এবং অন্যান্য আরও বিভিন্ন কালার অপশনে স্মার্টওয়াচটি পাওয়া যাবে।
ডিজাইনের দিক থেকে অনেকটা আগের প্রজন্ম অর্থাৎ পিক্সেল ওয়াচের মতোই দেখতে নতুন পিক্সেল ওয়াচ টু। একাধিক নতুন ফিচার যোগ করা হয়েছে ঘড়িটিতে। নতুন গুগল ওয়াচের সামনে রয়েছে প্লেন, স্মুথ গ্লাস। ওয়াচ ফেসও বদলে নিতে পারবেন আপনি। এছাড়া পার্সোনালাইজেশন করার সুবিধাও থাকছে। এবারে তা আপনি করতে পারবেন ইন্টারচেঞ্জেবল রিস্ট স্ট্র্যাপের মাধ্যমে।
এই লেটেস্ট ঘড়িতে নতুন প্রসেসর দেওয়া হয়েছে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে পারফর্ম করার জন্য কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ডব্লিউ৫ প্লাস জেনারেশন চিপসেট পেয়েছে ঘড়িটি। এই চিপসেট পেয়ার করা থাকছে ২ জিবি পর্যন্ত র্যামের সঙ্গে। এই প্রসেসর দেওয়ার ফলে সবথেকে ভালো ব্যাকআপ দিতে পারবে স্মার্টওয়াচের ব্যাটারি। আগের মতো একই ৩০৬ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি থাকলেও তার ‘লাইফ’ নিয়ে ব্যবহারকারীদের বিন্দুমাত্র ভাবতে হবে না।
গুগলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অলওয়েজ অন ডিসপ্লে চালু রেখেও ২৪ ঘণ্টার ব্যাকআপ দিতে পারবে নতুন পিক্সেল ওয়াচের ব্যাটারি।
ঘড়িটির এক্সটেরিয়ার ডিজাইন আগের মডেলের থেকে অপরিবর্তিত থাকছে। গুগল পিক্সেল ওয়াচ টু মডেলে দেওয়া হয়েছে ১.২ ইঞ্চির সার্কুলার ওলিড ডিসপ্লে। যার রেজুলেশন ৩৮৪x৩৮৪ পিক্সেলপিক্সেল। গুরুত্বপূর্ণ দুই ফিচারের মধ্যে ঘড়িটিতে রয়েছে অপটিক্যাল হার্ট রেট এবং ব্লাড-অক্সিজেন সেন্সর। যদিও প্রতিযোগী অন্যান্য ঘড়ির মতো এতে এখনো ইসিজি মনিটরিংয়ের মতো ফিচার্স দেওয়া হয়নি।
ডাস্ট ও ওয়াটার রেজিস্ট্যান্সের জন্য ঘড়িটি ৫এটিএম/আইপি৬৮ রেটিং প্রাপ্ত। এই ঘড়ি পরে আপনি নিশ্চিন্তে সাঁতার কাটতে পারবেন। আর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল এই ঘড়ির ইউডব্লিউবি বা আলট্রা ওয়াইড ব্যান্ড সাপোর্ট। এর সাহায্যে আপনি রাস্তাঘাটের আরও নিখুঁত ডিরেকশন পাবেন।