কম্পিউটারের মতো অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ অপরিহার্য স্মার্টফোনের জন্যও। অবশ্য এসব অ্যাপের কার্যকারিতা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। তবে সাধের হ্যান্ডসেটটিতে অ্যান্টি-ভাইরাস
অ্যাপ ইনস্টল করা থাকলে কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে ব্যবহারকারীর। নিরাপদে থাকে ডিভাইসে সংরক্ষিত তথ্য। স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় কার্যকর এমন বেশ কয়েকটি অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ নিয়ে আজকের আয়োজন—
ক্যাসপারস্কি
ভাইরাস স্ক্যানে যথেষ্ট পটু এই আপটি। এর সাহায্যে আপনার মোবাইল থাকবে নিরাপদ। ক্যাসপারস্কি অ্যান্টি-ভাইরাস ফ্রিতে রয়েছে দুটো ফিচার— ডিভাইস স্ক্যানিং ও ডিভাইস ক্লিনিং। স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখতে এতেও আছে রিয়েল-টাইম প্রটেকশন সুবিধা। ভাইরাস থেকে হ্যান্ডসেট সুরক্ষিত রাখতে বিটডিফেন্ডার ক্লাউড স্ক্যানিং প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে। অ্যান্টি-থেফট (Anti-Theft)।
রিভের অ্যান্টিভাইরাস
এই অ্যান্টিভাইরাস যেকোনো ধরনের ভাইরাস, ম্যালওয়্যার বা অনলাইন আক্রমণ থেকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেয়। পাশাপাশি ঘরে বসেই কাঙ্ক্ষিত ফোন ট্র্যাক করা যাবে। ঘরে বসে যেকোনো সাধারণ ফোন থেকে এসএমএস পাঠিয়ে বা ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে হারিয়ে যাওয়া ফোনের নিখুঁত অবস্থানসহ (কোথায় কোন বাড়িতে আছে) নীরব বা ভাইব্রেশন মুডেও অ্যালার্ম বাজানো যাবে, ফোন লক করে দেওয়া বা ডেটা মুছে ফেলা যাবে।
৩৬০ সিকিউরিটি
স্মার্টফোনের নিরাপত্তায় ব্যবহূত জনপ্রিয় অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপগুলোর একটি ৩৬০ সিকিউরিটি। ডিভাইসে সংরক্ষিত ফাইল স্ক্যানের সামর্থ্য রয়েছে এর। এতে থাকা অ্যান্টি-থেফট ফিচার হারানো ডিভাইস খুঁজে পেতে সহায়ক। পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে অন্য অ্যাপ সুরক্ষিত রাখতে রয়েছে অ্যাপ লক ফাংশনালিটি।
নরটন সিকিউরিটি
মোবাইল নিরাপত্তা ও সব ধরনের ভাইরাস আক্রমণ থেকে স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখে এ অ্যাপ। বিদ্বেষপূর্ণ অ্যাপ, চুরি বা ক্ষতির মতো হুমকি সম্পর্কে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এটি জানান দেয় ব্যবহারকারীকে। এছাড়া ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যারসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ থেকে স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখতে নরটন সিকিউরিটি সক্রিয় থাকে সদাই।
ট্রাস্টগো
অ্যান্টি-ভাইরাস ও মোবাইল নিরাপত্তায় ব্যবহূত অ্যাপ ট্রাস্টগো ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখে ক্ষতিকর ভাইরাস ও অন্য ম্যালওয়্যার থেকে। অন্য অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপের মতোই এর প্রধান কাজ ফাইল স্ক্যানিং ও রিয়েল টাইম প্রটেকশন। এতে আছে প্রাইভেসি গার্ড। এর মাধ্যমে ডিভাইসের অনুমতিসাপেক্ষে অ্যাপ কীভাবে কাজ করে তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন ব্যবহারকারী। এছাড়া এতে আছে সিস্টেম ম্যানেজার, ডাটা ব্যাকআপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফিচার।
আভিরা অ্যান্টি-ভাইরাস সিকিউরিটি
বহু ব্যবহারকারীর মন অল্প দিনেই জয় করে নিয়েছে আভিরা অ্যান্টি-ভাইরাস সিকিউরিটি অ্যাপ। ম্যালওয়্যার স্ক্যান, রিয়েল-টাইম প্রটেকশনসহ প্রয়োজনীয় ফাংশনগুলো রয়েছে এতে। এছাড়া আছে স্টেজফাইট অ্যাডভাইজরের মতো নতুন কিছু ফিচার। এসব ফিচার অ্যান্টি-থেফট, অ্যান্টি-প্রাইভেসিসহ বিভিন্ন বিষয় থেকে ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখে।
অ্যাভাস্ট মোবাইল সিকিউরিটি
জনপ্রিয় অ্যান্টি-ভাইরাস অ্যাপ্লিকেশন নির্মাতা অ্যাভাস্টের সৃষ্টি অ্যাভাস্ট মোবাইল সিকিউরিটি। এ অ্যাপ ইনস্টল করা আছে ১০ কোটির বেশি ডিভাইসে। হারানো ডিভাইস লক করে দেয়ার সুবিধা রয়েছে এতে। এছাড়া আছে হ্যান্ডসেট স্ক্যানিং, অ্যান্টি-থেফট ফাংশনালিটির মতো ফিচার। অ্যাপ হিসেবে এটি বেশ ভারী। ২ গিগাবাইট কিংবা এর বেশি র্যামের ডিভাইস হলে অ্যাভাস্ট মোবাইল সিকিউরিটি অ্যাপ সঠিক উপায়ে কাজ করতে পারে। রিমোট ডাটা রিকভারি, জিওফেন্সিং, অ্যাড-ডিটেকশন, অ্যাপ লকিংসহ বিভিন্ন ফিচার আছে এতে।
এভিজি অ্যান্টি-ভাইরাস সিকিউরিটি
ম্যালওয়্যার প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে কার্যকর এভিজির জন্য কোনো ভূমিকার প্রয়োজন নেই। এর অ্যান্টি-ভাইরাস সিকিউরিটি অ্যাপ বেশকিছু ফিচারে পূর্ণ। অ্যাপটি ভীষণ হালকা। বড় ফিচারগুলোর মধ্যে রয়েছে রিয়েল-টাইম প্রটেকশন ও ভাইরাস ডেফিনিশন ডাটাবেসের ধারাবাহিক হালনাগাদ। এছাড়া আছে টাস্ক কিলার, রিমোট ডাটা উইপ। ব্যাটারি ডিভাইস ও ডাটা ব্যবহারের খতিয়ান পর্যবেক্ষণ করা যায় এ অ্যাপের মাধ্যমে। আছে কল ব্লকিং সুবিধাও।
বিটডিফেন্ডার অ্যান্টি-ভাইরাস ফ্রি
বিটডিফেন্ডার অ্যান্টি-ভাইরাস ফ্রিতে রয়েছে দুটো ফিচার— ডিভাইস স্ক্যানিং ও ডিভাইস ক্লিনিং। স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখতে এতেও আছে রিয়েল-টাইম প্রটেকশন সুবিধা। ভাইরাস থেকে হ্যান্ডসেট সুরক্ষিত রাখতে বিটডিফেন্ডার ক্লাউড স্ক্যানিং প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে।
সিএম সিকিউরিটি
সিএম সিকিউরিটি ম্যালওয়্যারের আক্রমণ থেকে স্মার্টফোনের মতো মোবাইল ডিভাইসকে সুরক্ষিত রাখতে দারুণ কার্যকর। ম্যালওয়্যার স্ক্যানিং ও রিয়েল-টাইম প্রটেকশনের মতো ফিচার তো আছেই।