কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) পরিধি নিয়ে নতুন করে ব্যাখ্যা না দিলেও সমস্যা নেই। বর্তমানে সব খাতেই এর ব্যবহার যুক্ত হচ্ছে। ছবি ও ভিডিও সম্পাদনায় এআই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। তবে এর নেতিবাচক ব্যবহারও হচ্ছে। এআইনির্ভর ডিপফেক প্রযুক্তি নিয়েও এখন আলোচনা হচ্ছে।
ডিপফেক আসলে এআইয়ের একটি ধরন। ছবি, অডিও এবং ভিডিও তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এ প্রযুক্তি। ডিপফেক এআইকে একুশ শতকের ফটোশপিং বলা হয়ে থাকে। বিদ্যমান সোর্সকে সরিয়ে নতুন কিছু বসাতে পারদর্শী এ প্রযুক্তি। অর্থাৎ এর মাধ্যমে যে কারো মুখমণ্ডল ব্যবহার করা যাবে সহজে।
এআইনির্ভর এ প্রযুক্তি শুধু ভিডিও নয়, ফেক প্রোফাইলের ছবি তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। তাই এ ধরনের ভিডিও শনাক্তেও সতর্ক থাকতে হবে।
চোখের দিকে নজর দেয়া: ২০১৮ সালে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা যায়, ডিপফেক ভিডিওতে সাধারণত কোনো মানুষের মুখমণ্ডল ব্যবহার করা হলেও সেখানে চোখের পলক পড়া বা ব্লিংক হয় না। কেননা সেটি এআইনির্ভর, সাধারণ মানুষের মতো ব্লিংক করাও সম্ভব না।
ঠোঁটের নড়াচড়া খেয়াল করা: ডিপফেক প্রযুক্তি যদি খুব বেশি ভালো না হয় তাহলে বিভিন্ন অসংগতি চোখে পড়বে। এর অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে লিপ সিঙ্কিং বা ঠোঁট মেলানো। এ প্রযুক্তি কোনো মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম শতভাগ নকল করতে পারবে না। কোনো না কোনো অসংগতি সামনে আসবে।
ভিডিওতে দেখানো ব্যক্তির ত্বক: আসল ব্যক্তি আর ভুয়া ব্যক্তির ত্বকের গঠন কখনই এক রকম হবে না। তবে ভিডিওতে এক নজর দেখে তা শনাক্ত করা কিছুটা কঠিন। এসব ভিডিওতে ব্যক্তির ত্বককে দাগমুক্তভাবে উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া শারীরিক নড়াচড়াও অন্য রকম থাকে।
ব্যক্তির চুল ও দাঁত: এ দুটি বিষয় শতভাগ কপি করার চেষ্টা করে ডিপফেক প্রযুক্তি। কারণ এর মাধ্যমে ব্যক্তির চেহারা অনেকটাই শনাক্ত করা যায়। তবে প্রযুক্তিটি সেভাবে উন্নত না হওয়ায় রেন্ডারিং ভালো হয় না।
ডিপফেক বোঝার আরো বেশকিছু উপায় আছে। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, ডিপফেক ভিডিও খুব একটা বড় হয় না। কারণ একটা ভিডিওতে চরিত্রের মুখের প্রতিটি অভিব্যক্তি ফ্রেম বাই ফ্রেম এডিট করতে হয়। ভিডিওর দৈর্ঘ্য যদি বেশি হয়, সেক্ষেত্রে এডিট করাটা অসম্ভব হয়ে যায়। —টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে