ব্যক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে অনলাইনে নিয়মিত আর্থিক লেনদেন করেন অনেকেই। আর তাই সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন কৌশলে ফোনে বা ই-মেইলে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে অর্থ চুরি করছে। আর্থিক প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বার্তা পাঠানোর প্রবণতা এবং প্রভাব নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি।
গবেষণায় ভারতসহ সাতটি দেশের সাত হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন। গবেষণায় অংশ নেওয়া ৪৯ শতাংশ ব্যক্তিই বলেছেন, ভাষা এবং তথ্যগত ভুল না থাকায় বার্তাগুলোকে প্রাথমিকভাবে সত্যি বলেই মনে হয়। এর ফলে বেশির ভাগ ব্যক্তিই প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন।
গবেষণার তথ্যমতে, ৭২ শতাংশ প্রতারণামূলক বার্তায় লেখা থাকে ‘আপনি একটি পুরস্কার জিতেছেন’। ৬৪ শতাংশ ক্ষেত্রে ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখানো হয়। ৫২ শতাংশ ক্ষেত্রে ব্যাংকের ভুয়া বার্তা এবং ৩৭ শতাংশ ক্ষেত্রে পণ্য কেনার বার্তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে ভিডিও স্ট্রিমিং সাইটের নিবন্ধন হালনাগাদ, ২৯ শতাংশ ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহে ত্রুটি ও ২৭ শতাংশ ক্ষেত্রে অনলাইনে বিভিন্ন সেবার অ্যাকাউন্ট হালনাগাদের বার্তা পাঠানো হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮২ শতাংশ ব্যক্তিই ভুয়া বার্তায় থাকা লিংকে ক্লিক করেন। এর ফলে দূর থেকেই ব্যবহারকারীদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য ও পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে গোপনে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয় সাইবার অপরাধীরা। সবচেয়ে বেশি ক্লিক করা হয় ‘আপনি পুরস্কার জিতেছেন’ বার্তায়। এরপরই রয়েছে পণ্য সরবরাহ বা পণ্য কেনার বার্তাগুলো। আর তাই অপরিচিত ঠিকানা থেকে পাঠানো যেকোনো বার্তায় ক্লিক করার আগে প্রেরকের পরিচয় ভালোভাবে যাচাই করার পরামর্শ দিয়ে ম্যাকাফি।