রংপুর বিভাগের ১১টি জেলার পর এবার শুধু রংপুর জেলার ১০টি ও গাইবান্ধা জেলার ৯টি স্পট থেকেও স্পষ্ট হলো দেশে মোবাইল টাওয়ার থেকে ছড়ানো রেডিয়েশন নিরাপদ মান নিরাপদ মাত্রার অনেক নিচে রয়েছে। রবিবার বিটিআরসি’র ওয়েবসাইটে এই অঞ্চলগুলোতে থাকা মোবাইল টাওয়ারের তেজষ্ক্রিয় মান পরিমাপক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতি করছে না বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
ফলাফল অনুযায়ী, ইএমএফ রেডিয়েশনের নিরাপদ মাত্রা প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ২.১০৬ হলেও পরীক্ষা চালিয়ে তা পাওয়া গেছে ০.০০৪২ থেকে ০.০৭ বা সর্বোচ্চ ০.০৩ শতাংশের মধ্যে। এর মধ্যে রংপুরের জাহাজ কোম্পানি মোড় ও তৎসলগ্ন এলাকায় প্রতি বর্গমিটারে সর্বোচ্চ ওয়াস্ট মাত্রা ০.০৭৬৮২।
এর আগে গত বছর নভেম্বরে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ঝুঁকি বিবেচনায় মোবাইল টাওয়ারের তেজষ্কৃয়তার আন্তর্জাতিক মাত্রা ১০ শতাংশের এক শতাংশ নির্ধারণ করা যৌক্তিক কিনা, সে বিষয়ে মতামত জানতে সাত সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাককে বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য সচিব করা হয়। তখন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক সদস্য মো. কামরুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিকে চার মাসের মধ্যে মতামত দিতে বলেছেন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ। তার পর থেকেই দেশজুড়ে এই পরীক্ষা চালাচ্ছে বিটিআরসি।