মা, বাবা, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সন্তান, পরিচিতজনের কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করে একটি ভয়েস পাঠিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা হতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে এই জালিয়াতি এতটাই নিখুঁত ভাবে করা হচ্ছে যে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা ধরা অসম্ভব।
ইমো অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখবেন যেভাবে
সম্প্রতি এআই ভয়েস ক্লোনিং দিয়ে জালিয়াতি বেড়েছে। পরিচিতজনের কণ্ঠস্বর নকল করে বিভিন্ন ছদ্মবেশে, নানান গালগল্পে, ইমোশনাল বা বেদনাদায়ক কাহিনি বলে প্রতারণা করছে প্রতারক চক্র। বিশেষ করে চক্রগুলো জোর দিচ্ছে জরুরি টাকার প্রয়োজনীয়তায়। অনেকেই এই ফাঁদে পড়ে হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এমনকি জানতে চাওয়া হয় আপনার ব্যক্তিগত তথ্যও।
এআই ভয়েস ক্লোনিং জালিয়াতি কী?
এআই ভয়েস ক্লোনিং এর আরেক নাম ভয়েস সিন্থেসিস বা ভয়েস মিমিক্রি। আসলে এটি একটি প্রযুক্তি, যা মেশিন লার্নিং বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে, যে কোনো ব্যক্তির কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করে। এই প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজন সামান্য পরিমাণে ভয়েস ডেটা। আর যার ভয়েস নকল করা হচ্ছে, তার কণ্ঠস্বর। একাধিক ফ্রি এবং পেইড টুল রয়েছে, যার দ্বারা একজনের গলার নকল খুব সহজেই অন্যজন করে ফেলছেন।
এআই ভয়েস ক্লোনিং জালিয়াতি থেকে বাঁচার উপায়
এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে চাইলে ভয়েস নোট অনলাইনে রাখা যাবে না। এছাড়াও, যখনই এই ধরনের কল আসলে বিশ্বাস না করে সেই ব্যক্তির আসল নম্বরে দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হোন এবং পুরো বিষয়টা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। যদি কেউ ফোন করে আপনার বন্ধু, আত্মীয়-পরিজন বলে দাবি করে টাকা চায়, তবে টাকা পাঠানোর আগে আসল ঘটনা জেনে নিতে হবে।