চীনা বাজারকে মাথায় রেখে তৈরি নতুন চিপগুলো যেন যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, সেই লক্ষ্যে এনভিডিয়া মার্কিন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করছে –এমনই দাবি কোম্পানির সিইও জেনসেন হুয়াংয়ের।
চীনের সাতশ কোটি ডলার মূল্যমানের এআই চিপ বাজারে ৯০ শতাংশের বেশি দখলে রেখেছে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক চিপ নকশা কোম্পানিটি। তবে, নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে এ পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে, যেখানে নিজস্ব চিপ বিক্রির সুযোগ পেতে পারে বিভিন্ন চীনা কোম্পানি।
গত মাসে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে আসে, চীনকেন্দ্রিক নতুন এআই চিপের উন্মোচন আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়টি চীনা ক্রেতাদের জানিয়েছে এনভিডিয়া।
তবে, রয়টার্সের ওই প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি হুয়াং। “এনভিডিয়া এমন বিভিন্ন পণ্য তৈরির জন্য মার্কিন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, যেগুলো দেশটিতে জারি করা নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।” –সিঙ্গাপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন হুয়াং।
“আমাদের লক্ষ্য, সরকারের সঙ্গে কাজ অব্যাহত রেখে এমন নতুন শ্রেণির পণ্য উৎপাদন করা, যা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় সহায়ক হবে।” তিনি আরও বলেন, এনভিডিয়া বাজার থেকে পরামর্শ নিতে চায়, আর এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তিনি আরও যোগ করেন, চীনা বাজারে কোম্পানির ‘সবচেয়ে বড়’ প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে হুয়াওয়ে।
নভেম্বরে কোম্পানির আয়ের হিসাবে এনভিডিয়া সতর্কবার্তা দিয়েছে, নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে চতুর্থ প্রান্তিকে চীনে কোম্পানির পণ্য বিক্রিতে বড় পতনের আশঙ্কা রয়েছে। হুয়াং বলেন, এনভিডিয়ার সামগ্রিক আয়ের প্রায় ২০ শতাংশে ভূমিকা আছে চীনের। তবে, নতুন মার্কিন রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার পর এ পরিস্থিতি কতটা পরিবর্তিত হতে পারে, তা অনুমান করা জটিল। পাশাপাশি, সম্ভাব্য বড় বিনিয়োগ ও ‘সিলায়ন’ নামের নতুন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল তৈরির জন্য সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আলাপের বিষয়টিও জানিয়েছেন হুয়াং।
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রথম ‘এলএলএম’ তৈরির উদ্দেশ্যে গেল সোমবার পাঁচ কোটি ২০ লাখ ডলারের নতুন তহবিল ঘোষণা করেছে সিঙ্গাপুরের পরিচালনা পর্ষদ ‘ইনফোকম মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আইএমডিএ)।
হুয়াং বলেন, সিঙ্গাপুরের এআই ইকোসিস্টেম বেশ বৈচিত্র্যময়। এ ছাড়া, বিভিন্ন এশীয় বাজারে দেশটির ডেটা সেন্টার হিসেবে ভূমিকা রাখার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি।