যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রয়োজনে ‘ফ্রন্টায়ার’ নামে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতির সুপার কম্পিউটার তৈরি করছে মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেস (এএমডি)। এ কাজে তাদের সহায়তা করছে ক্রে কম্পিউটিং। তাদের তৈরি সুপার কম্পিউটারটি যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ‘ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে’ স্থাপন করা হবে। ২০২১ সাল নাগাদ এটি চালু হতে পারে।
ফ্রন্টায়ার নামের এ সুপার কম্পিউটার চালু হলে এটি হবে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এক্সাস্কেল সুপার কম্পিউটার। এ কম্পিউটার থেকে প্রসেসিং ফলাফল পাওয়া যাবে ১ দশমিক ৫ এক্সাফ্লপ। এক এক্সাফ্লপ হচ্ছে ১ পেটাফ্লপের চেয়ে হাজার গুণ দ্রুতগতির হিসাব করার ক্ষমতা। কম্পিউটারের কাজ করার দক্ষতা নির্ণয়ের একক হচ্ছে ফ্লপস।
সুপার কম্পিউটারটি আধুনিক কম্পিউটারে নানা কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম হবে। এর মধ্যে পারমাণবিক কাঠামোর গবেষণা, আবহাওয়া, বংশগতি, পদার্থবিদ্যাসহ বিজ্ঞানের নানা খাতে এর ব্যবহার হবে।
এএমডির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফ্রন্টায়ার সুপার কম্পিউটার তাদের নিজস্ব উদ্ভাবন হাই পারফরম্যান্স কম্পিউটিং (এইচপিসি), কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাযুক্ত কাস্টোমাইজড এএমডি ইপিওয়াইসি সিপিইউ, এএমডি রেডন ইনসটিংক্ট জিপিইউ প্রসেসর থাকবে। ক্যারি কম্পিউটিংয়ের সঙ্গে মিলে ওপেন সোর্স প্রোগ্রামিং পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
এএমডির দাবি, ফ্রন্টায়ারের যে পরিমাণ ক্ষমতা, তা এখনকার আধুনিক সুপার কম্পিউটারের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি হবে। বিশ্বের এখনকার সবচেয়ে দ্রুতগতির ১৬০টি সুপার কম্পিউটার যে ক্ষমতার, ফ্রন্টায়ার একাই সে পরিমাণ শক্তিশালী হবে। এতে যে নেটওয়ার্ক ব্র্যান্ডউইথ থাকবে, তা বাড়িতে ব্যবহৃত ইন্টারনেট সংযোগের তুলনায় ২ কোটি ৪০ লাখ গুণ বেশি। অর্থাৎ সেকেন্ডে এক লাখ এইচডি রেজুলেশনের মুভি ডাউনলোড করা যাবে।
এর আগে গত বছরের জুনে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও উন্নত বৈজ্ঞানিক সুপার কম্পিউটার ‘সামিট’ উন্মুক্ত করে মার্কিন কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আইবিএম ও চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া। এ সুপার কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে দুই লাখ ট্রিলিয়ন হিসাব সম্পন্ন করতে পারে। আরেক সুপার কম্পিউটার টাইটানের চেয়ে এটি আট গুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন।
সামিটের আগে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার ছিল সানওয়ে তাইহু লাইট। এর সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স ২০০ পেটাফ্লপস বা প্রতি সেকেন্ডে দুই লাখ ট্রিলিয়ন হিসাব করার ক্ষমতা।