ইউরোপের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতির এক অনন্য তীর্থভূমি শেনজেনভুক্ত দেশ ইতালি। প্রাচীনকালে এখানে ছোট্ট জনপদ গড়ে উঠেছিল, যাকে গ্রিকরা ‘ইতালিয়া’বলে ডাকতো। প্রাচীন সভ্যতা ও আধুনিকতার পাশাপাশি মনোরম সমুদ্র সৈকত, আলপাইন লেক, আল্পস পর্বতমালার সমন্বয়ে গঠিত ইতালি সত্যিই অসাধারণ ও মনোমুগ্ধকর। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এই দেশটি তাই অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য।
প্রতিবছর ইতালিতে ২ কোটিরও বেশি পর্যটক সমাগম হয়। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে আপনি ইতালির সৌন্দর্য দর্শনে যেতে পারেন।
ইতালি যেতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ ভিসা নিতে হয়। নিচের ধাপগুলো ফলো করে আপনি ইতালি ভিসা আবেদন করতে পারেন।
১. ইতালির ভ্রমণ ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার প্রথমে বেশকিছু ডকুমেন্টেশন সংগ্রহ করতে হবে। যেমন: আপনার পেশাগত কাগজ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ম্যারিজ সার্টিফিকেট এবং হালনাগাদ করা পাসপোর্ট কপি। ঢাকায় ভিএফএস গ্লোবাল ইতালি ভিসা আবেদন জমা নেয়। ভিসা প্রসেসিং সেন্টারের ওয়েবসাইট থেকে ইতালি ভিসা আবেদনের চেকলিস্টটি ডাউনলোড করে সেই অনুযায়ী ডকুমেন্টসগুলো রেডি করতে পারেন।
২. ডকুমেন্ট সংগ্রহ শেষে আপনাকে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে এবং নির্দিষ্ট দিনে আপনাকে বায়োমেট্রিক এবং ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে।
৩. ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার পর ৩ থেকে ৬ সপ্তাহ লাগে ভিসা আবেদনটি প্রসেস করার জন্য। যখন আপনার ভিসা আবেদনটি প্রসেস হবে – আপনি ভিএফএস থেকে মেসেজ পাবেন পাসপোর্ট সংগ্রহ করার জন্য।
টুরিস্ট ভিসায় ইতালি গেলে আপনি সেখানে ৩০ দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন।
নিজে নিজেই ভিসা প্রসেসিং করতে পারবেন, তবে চাইলে ঢাকায় অনেক পেশাদার ভিসা প্রসেসিং কোম্পানিও রয়েছে।
এক্ষেত্রে গুলশানের ভিসা প্রসেসিং সেন্টার রয়েছে শীর্ষ অবস্থানে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির শেনজেন ভিসা অফিসার রাজিবুল হাসান জানান, ইতালির ভিসার জন্য আপনার আগের ভ্রমণ ইতিহাস থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্টেও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটের প্রতিফলন থাকতে হবে।