ডিপফেকসহ অনলাইনে বিভিন্ন হুমকির পাশাপাশি ভুয়া তথ্যের প্রচার বন্ধে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সিঙ্গাপুর। এর অংশ হিসেবে শক্তিশালী শনাক্তকরণ টুল তৈরিতে ২ কোটি ডলার বরাদ্দও রেখেছে দেশটি। টুলটির মাধ্যমে অনলাইনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করে।
ডিজিটাল প্লাটফর্মে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির কারণে বিল্ডি অ্যান ইনক্লুসিভ অ্যান্ড সেফ ডিজিটাল সোসাইটি নামে একটি উদ্যোগ নেয়া হয়। মূলত সাইবার হামলা, স্ক্যাম, ক্ষতিকর কনটেন্টের বিস্তৃতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ন্ত্রণে এটি কাজ করবে বলে দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে। দেশটির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী জোসেফিন টিও জানান, স্ক্যামারদের পাশাপাশি অনলাইনে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি মোকাবেলায় সিঙ্গাপুরকে নতুন পদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে।
চলতি সপ্তাহে সংসদীয় অধিবেশনের জন্য নতুন এ ঘোষণা দেন টিও। যেখানে তিনি ডিজিটাল জীবনধারা মাধ্যমে তৈরি হওয়া বহুমুখী চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করেছেন। এ সময় তিনি বিশেষভাবে ডিপফেক প্রযুক্তির অপব্যবহার ও ঝুঁকি মোকাবেলায় ক্রমাগত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ ঝুঁকি মোকাবেলায় আগেই আইন প্রণয়ন করেছিল দেশটির সরকার। তবে তা সত্ত্বেও নতুন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের উদ্যোগে ১৩টি সুপারিশ করা হয়েছে। যেগুলো অনলাইন লেনদেনের নিরাপত্তা বাড়াতে, জাল ও স্ক্যাম শনাক্তে এবং সমাজে ডিজিটাল নিরাপত্তা শিক্ষার প্রচারে সহায়ক হবে।
প্রধান সুপারিশগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের প্লাটফর্মকে জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে কার্যকরভাবে স্ক্যাম শনাক্ত করতে সাহায্য করা, ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য ডিভাইস নির্মাতা ও ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলোর সঙ্গে কাজ করা এবং ক্ষতিকর বিজ্ঞাপনের জন্য সামাজিক মিডিয়া পরিষেবাগুলোকে দায়বদ্ধ রাখা।