যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৯ ও আল্ট্রা ২ মডেল থেকে ব্লাড অক্সিজেন অ্যাপ সরিয়ে নিচ্ছে অ্যাপল। এ পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা আরোপিত আমদানি নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পারবে কোম্পানিটি।
রক্তে অক্সিজেন পরিমাপের ফিচার সম্পর্কিত পেটেন্ট নিয়ে অ্যাপলের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে রয়েছে মাসিমো নামের একটি স্বাস্থ্য প্রযুক্তি কোম্পানি। অ্যাপ সরানোর পর আমদানি রক্ষণাবেক্ষণকারী সরকারি সংস্থা ইউএস কাস্টমস সিদ্ধান্ত নেয়, অ্যাপ ছাড়া অ্যাপলের স্মার্টওয়াচ আমদানি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করছে না। তাই ওয়াচগুলো আবার যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা যাবে। এখন অ্যাপল ব্লাড অক্সিজেন ফিচার অন্তর্ভুক্ত না করেও পুনরায় বিক্রি করতে পারবে।
অ্যাপল এরই মধ্যে মার্কিন স্টোরগুলোয় অ্যাপটি মুছে ফেলার পাশাপাশি নতুন ডিজাইনেও স্মার্টওয়াচ সরবরাহ শুরু করেছে। কিন্তু অ্যাপলের স্টোরগুলো পরিবর্তিত ওয়াচগুলো বিক্রির অনুমোদনের অপেক্ষায়। তবে ইউএস কাস্টমসের সিদ্ধান্তের সঙ্গে বাণিজ্য কমিশন যদি একমত না হয়, তাহলে আমদানি নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল হতে পারে।
গত অক্টোবরে ব্লাড অক্সিজেন অ্যাপ সম্পর্কে মাসিমোর পেটেন্ট লঙ্ঘন করার অভিযোগ ওঠে অ্যাপলের বিরুদ্ধে। ফলে কোম্পানিটি বড়দিনের আগে তাদের নতুন ওয়াচ বিক্রি বন্ধ করে দেয়। তবে ডিসেম্বরের শেষের দিকে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় অ্যাপল আবার বিক্রি শুরু করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিটি জানায়, অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহারকারীরা অবশ্য কোনো ফিচার হারাবেন না। কারণ পরিবর্তনটি কেবল বিক্রি হওয়া নতুন ওয়াচের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ব্লাড অক্সিজেন অ্যাপটি ২০২০ সালে অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৬-এর পর থেকে চালু করা হয়েছে। পেটেন্ট বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার পরে অ্যাপল অ্যাপটির একটি আপডেট সংস্করণ ফিরিয়ে আনতে পারে।
আমদানি নিষেধাজ্ঞার পর পরই অ্যাপলের প্রকৌশলীরা অ্যাপটির সফটওয়্যার ও অ্যালগরিদম আপডেট করার কাজ শুরু করে দেয়। তবে অ্যাপটি সম্পূর্ণরূপে অপসারণের ফলে নিষেধাজ্ঞাটি এখন এড়ানো যাবে।
এক বিবৃতিতে মাসিমো জানায়, অ্যাপল তাদের স্মার্ট ওয়াচে পালস অক্সিমেট্রি ক্ষমতা রয়েছে স্বীকার করেছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক। সংস্থাটি বলে যে বড় কোম্পানিগুলোর জন্য ছোট কোম্পানিগুলোর বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি অধিকারকে সম্মান করা জরুরি।