চীন ৬জি আর্কিটেকচার পরীক্ষার জন্য বিশ্বের প্রথম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্যাটেলাইটটি বিশ্বের বৃহত্তম টেলিকম ক্যারিয়ার চায়না মোবাইলের মাধ্যমে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এটি কম লেটেন্সি এবং উচ্চ ডেটা স্থানান্তরের জন্য সফলভাবে একটি নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে।
চায়না মোবাইল বলছে, শনিবার একটি ৫জি স্যাটেলাইট দিয়ে মহাকাশে বিস্ফোরণ করা হয়েছে। স্যাটেলাইটটি ৬জি আর্কিটেকচার পরীক্ষা করবে। সেটি ডোমেস্টিক সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ব্যবহার করবে। একই সাথে কক্ষপথে সফ্টওয়্যার পুনর্গঠনে সমর্থন করবে, মূল নেটওয়ার্ক ফাংশনগুলোর নমনীয় স্থাপনা করবে এবং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা, এর দক্ষতা এবং নির্ভরযোগ্যতা বাড়াবে।
৬জি আর্কিটেকচারটি চায়না মোবাইল এবং চীনা অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের মাইক্রোস্যাটেলাইটের ইনোভেশন অ্যাকাডেমি যৌথভাবে তৈরি করা হয়েছে।
টেলিকম জায়ান্ট বলছে, এ ধরনের স্যাটেলাইটগুলোকে নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করা এবং টেরেস্ট্রিয়াল মোবাইল নেটওয়ার্কগুলোতে বৃহত্তর টেলিকম সিগন্যাল কভারেজের অনুমতি দেয়। যা বিশ্বব্যাপী উচ্চ ব্যান্ডউইথ স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করে।’
গত অক্টোবরে চীনের বিজ্ঞানীরা সফলভাবে মহাকাশে একটি যোগাযোগ যন্ত্র পরীক্ষা করেছে। যন্ত্রটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আলোক সঙ্কেতকে বৈদ্যুতিক সঙ্কেতে রূপান্তর না করেই প্রেরণ করতে পারে।
পরীক্ষাটি চীনা অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের অধীনে জিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অপটিক্স অ্যান্ড প্রিসিশন মেকানিক্সের একটি দলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিল।
এটি ‘স্পেসবর্ন অপটিক্যাল সুইচিং টেকনোলজি’ নামে পরিচিত এবং গত আগস্টে চীনের ওয়াই৭ ক্যারিয়ার রকেটের মাধ্যমে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। এর আগে, ২০২০ সালের নভেম্বরে চীন মহাকাশে পাঠিয়েছিল ‘বিশ্বের প্রথম ৬জি পরীক্ষামূলক স্যাটেলাইট। পরীক্ষামূলক ৬জি স্যাটেলাইটটির লক্ষ্য ছিল মহাকাশে টেরাহার্টজ যোগাযোগ প্রযুক্তি যাচাই করা।