বাজারে উন্মোচনের দুই সপ্তাহের মাথায় ভিশন প্রো হেডসেটে প্রথম সফটওয়্যার আপডেট নিয়ে এসেছে অ্যাপল। আপডেটের নাম ভিশনওএস ১.০.৩। আপডেটের মাধ্যমের ডিভাইসটির পাসকোডের সমস্যার সমাধান এনেছে অ্যাপল।
প্রথম প্রজন্মের পণ্য হলেও মিক্সড রিয়ালিটি হেডসেটটি এর ফিচারের মাধ্যমে গ্রাহককে অবাক করেছে। সম্প্রতি আপডেট আনার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সমস্যার সমাধান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্টটি। আপডেটে নতুন যুক্ত হওয়া ফিচারটি হলো ভুলে যাওয়া পাসকোডটি পুনরায় সেট করার সক্ষমতা।
আগে ভিশন প্রো হেডসেটের পাসকোড ভুলে গেলে পুনরায় সেটি সেট করার জন্য ব্যবহারকারীদের অ্যাপল স্টোরে যেতে হতো। এখন কেউ সর্বোচ্চ সংখ্যক ভুল পাসকোড দিলেও ডিভাইস থেকে সে তথ্য মুছে ফেলার অপশন দেখাবে। এটি ব্যবহারকারীদের ডিভাইসের ওপর আরো নিয়ন্ত্রণ আনবে। তবে অ্যাক্টিভেশন লক চালু থাকার কারণে ব্যবহারকারীর তথ্য সুরক্ষিত থাকবে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে। ডিভাইসটি মুছে ফেলার জন্য মালিকের আলাদা করে অ্যাপল আইডির প্রয়োজন হবে না।
অ্যাপলের আপডেট রিলিজ নোটে বলা হয়, আপডেটে গুরুত্বপূর্ণ বাগ ফিক্স বা ত্রুটি সমাধান করা হয়েছে। তবে কী ধরনের ত্রুটিগুলোর সমাধান করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি অ্যাপল।
ভিশন প্রো ব্যবহারকারীরা চাইলে সরাসরি তাদের হেডসেটে আপডেটটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে পারবে। এজন্য হেডসেটটির সেটিংস অ্যাপ থেকে সফটওয়্যার আপডেট সেকশনের মাধ্যমে আপডেট করা যাবে। অন্যান্য ডিভাইসের মতো অ্যাপলের ভিশন প্রো হেডসেট সফটওয়্যার আপডেট করে রাখা জরুরি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে গত বছর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ডেভেলপার কনফারেন্স অগমেন্টেড রিয়ালিটি ও ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সংমিশ্রণের হেডসেট ভিশন প্রো দেখিয়েছিল অ্যাপল। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত হয়েছে হেডসেটটি। প্রথম সপ্তাহে অ্যাপল ভিশন প্রোর প্রায় দুই লাখ ইউনিট প্রি-অর্ডার করা হয়েছে। তবে ডিভাইসটি নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেক ব্যবহারকারীর কাছে হেডসেটটির ওজন ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আবার অনেকের কাছে একে পরবর্তী প্রজন্মের কম্পিউটিং ডিভাইসের প্রথম ধাপ হিসেবে মনে হয়েছে।