স্মার্টফোন এখন আর বিলাসিতা নয়। প্রয়োজনীয় গ্যাজেট। এর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। তাই হ্যাকারদের টার্গেট এখন স্মার্টফোন। ম্যালওয়্যার ভাইরাস একবার ফোনে ঢুকলেই বিপদ। ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হতে পারে, ব্ল্যাকমেইল বা অনলাইন ফিশিংয়ের খপ্পরে পড়তে পারেন। জালিয়াতি হতে পারে আপনার সঙ্গে। যে কারণে স্মার্টফোন নিরাপদ রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ফোনে যদি ভাইরাস প্রবেশ করে থাকে তাহলে কয়েকটি লক্ষণই বলে দেবে আপনাকে। সেই লক্ষণগুলো চিনে রাখুন এবং অপরকেও সতর্ক করুন।
ফোন হ্যাক হয় কেন?
ম্যালওয়্যার ভাইরাস অর্থাৎ এমন কিছু সফটওয়্যার যা আপনার ফোনে তথ্য লোপাট করার উদ্দেশ্যে ইনস্টল করা হয়েছে। এগুলো সাধারণত ধরা যায় না। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার হয় ম্যালওয়্যার ভাইরাস। বিভিন্ন এপিকে ফাইল, ভুয়া লিঙ্ক এবং অ্যাপের মাধ্যমে এগুলো ফোনে প্রবেশ করে। যদিও বেশ কিছু উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে ভাইরাস চিনতে পারবেন।
ফোন হ্যাক হয়েছে কিনা কীভাবে বুঝবেন?
ফোনে কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখলে বুঝতে হবে স্মার্টফোনে ম্যালওয়্যার ভাইরাসের প্রবেশ ঘটেছে। এই সময় সতর্ক না হলে ভবিষ্যতে আপনি আর্থিক জালিয়াতি, ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস, অনলাইন ফিশিংয়ের মতো ঘটনার মুখোমুখি হতে পারেন।
দ্রুত চার্জ শেষ হয়
দ্রুত চার্জ শেষ হওয়াকে বলা হয় ব্যাটারি ড্রেনিং। এটি যদি ঘনঘন হয় তাহলে বুঝতে হবে কোথাও না কোথাও গন্ডগোল রয়েছে। ফোন চার্জ দেওয়ার পরই দ্রুত হারে চার্জ নেমে যাওয়া ম্যালওয়্যার ভাইরাসের একটি লক্ষণ। কারণ এগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চার্জ শুষে নেয়।
অচেনা অ্যাপ নিজে নিজেই ইনস্টল হয়
আপনি ফোনে ইনস্টল করেননি এমন অ্যাপের সন্ধান পেলে দ্রুত সতর্ক হন। অনেক সময় ফোনের ফাইল ম্যানেজারে গিয়ে এপিকে ফাইল হিসাবে সেভ হয়ে যায় এই সব অ্যাপ। এগুলো ধীরে ধীরে সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য লোপাট করতে শুরু করে। এমন অ্যাপ চোখে পড়লে দ্রুত সেগুলো ফোন থেকে মুছে ফেলুন।
বেশি পরিমাণে মোবাইল ডেটা খরচ করে
উদাহরণস্বরূপ, আগে যে কাজটা করতে ১০০এমবি ডেটা খরচ হত। সেটা এখন করতে ২০০এমবি বা তার বেশি খরচ হচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে কিছু না কিছু অসাধু কার্যকলাপ চলছে ফোনে। কারণ এই ধরনের ম্যালওয়্যার ভাইরাস ব্যাটারির পাশাপাশি দ্রুত হারে মোবাইল ডেটা খরচ করে।
ফোনের পারফরম্যান্স কমে যাওয়া
নতুন ফোন কিনে বেশিদিন হয়নি। কিন্তু কমে গিয়েছে পারফরম্যান্স। বেশি সাইজের হাই-পারফরম্যান্স অ্যাপ ডাউনলোড না করেও যদি ফোনের গতি কমে যায়, তাহলে বুঝতে হবে ম্যালওয়্যার ভাইরাস ঢুকেছে স্মার্টফোনে।
ফোনের সেটিং বদলে যাওয়া
অনেক সময় স্মার্টফোনের সেটিং আপনা আপনি বদলে যায়। আসলে ফোনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লোপাট করার উদ্দেশ্যে সেটিংস বদলে ফেলে হ্যাকাররা। এমন কিছু চোখে পড়লে তড়িঘড়ি সাবধান হন। পাশাপাশি ফোন যদি ওভারহিটিং হয় তাহলে সতর্ক হতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় পারমিশন
ফোনে অ্যাপসগুলো যদি অপ্রয়োজনীয় পারমিশন চায় তাহলে সতর্ক হতে হবে। কারণ অনেক অ্যাপ প্রয়োজনীয়তার বাইরে পারমিশন চেয়ে থাকে। এগুলো স্মার্টফোনের ক্যামেরা, লোকেশন, কন্টাক্ট, ক্যামেরা-সহ একাধিক ব্যক্তিগত তথ্যের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়।