ফোল্ডেবল ভার্সন আনছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপল। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম ডিজিটাইমস টেক জায়ান্টটির ফোল্ডিং ফর্ম ফ্যাক্টরের ডিভাইস নিয়ে একটি আকর্ষণীয় তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে, অ্যাপলের প্রথম ফোল্ডেবল ডিভাইসটি আইফোন হবে না।
তবে আইফোন নাকি আইপ্যাডের ফোল্ডেবল ভার্সন আনা হবে তা পরিষ্কারভাবে বলা হয়নি।
বিগত কয়েক বছর ধরেই অ্যাপলের ফোল্ডেবল ফোন নিয়ে জল্পনা চলছে। ২০১৯ সালে স্যামসাংয়ের ফোল্ডিং হ্যান্ডসেট লঞ্চ করার পর থেকে ফোল্ডেবল ফোনের সেগমেন্টে ধীরে ধীরে বিভিন্ন কোম্পানি যুক্ত হয়েছে। তবে, এই প্রতিযোগিতায় অ্যাপল এখনো অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে।
ডিজিটাইমসের দাবি, অ্যাপল কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে তাদের প্রথম ফোল্ডেবল ডিভাইস নিয়ে কাজ করছে। তারা বলেছে যে, এটি ফোল্ডেবল আইফোনের পরিবর্তে বড় ডিভাইস হতে পারে। অর্থাৎ, অ্যাপল সম্ভবত ট্যাবলেট বা নোটবুকের সঙ্গে ফোল্ডেবল বিভাগে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডিজাইনকে একত্রিত করার কাজ চলেছে এবং প্রজেক্টটি প্রায় সমাপ্তির পর্যায়ে এসে গেছে। অ্যাপল গণ উৎপাদনও শিগগিরই চালু করতে পারে।
এখানে লক্ষণীয় যে, ডিজিটাইমস অ্যাপলের ফোল্ডেবলকে শুধু একটি বড় ডিভাইস হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাই এটি আইপ্যাড লাইনআপের অংশ নাকি সম্পূর্ণ নতুন পণ্য বিভাগের অংশ তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল ফোল্ডেবল ডিভাইসের ওপর তাদের কাজ স্থগিত করেনি। এটি আরও নিশ্চিত করে যে, স্ক্রিনের সমস্যাগুলোর কারণে বিকাশ প্রক্রিয়ায় বিরতি দেওয়ার এবং ভিশন প্রো টিমকে একটি ফোল্ডেবল প্রজেক্টে স্থানান্তরিত করার বিষয়ে আগের প্রতিবেদনগুলো যা বলেছে, তার সত্যতা রয়েছে।
উল্লেখ্য, অ্যাপল তাদের প্রথম ফোল্ডেবল ফোন ২০২৫ বা তারও পরে লঞ্চ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোম্পানি সাধারণত নতুন ডিভাইস বা নতুন ক্যাটাগরিতে প্রবেশের জন্য অন্যান্য ব্র্যান্ডের তুলনায় বেশি সময় নেয়। কারণ মার্কিন টেক ব্র্যান্ড এক্ষেত্রে মানের সঙ্গে আপস করতে চাইবে না। তাই এটি বাস্তবায়িত হতে সময়ের অপেক্ষা করতে হবে।