অ্যাপলের নতুন ট্যাবগুলোতে ওলেড ডিসপ্লে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরো সক্রিয় হয়েছে। যার ফলে মার্কেটে রিসার্চ ওলেড যুক্ত আইপ্যাড প্রোর সরবরাহের পরিমাণ শুধুমাত্র এ বছরেই ৯ মিলিয়ন বা ৯০ লাখ ছাড়িয়েছে।
স্যামসাং এবং এলজি নতুন আইপ্যাড প্রো মডেলের জন্য এই ডিসপ্লেগুলো তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যা এপ্রিল এবং জুন মাসে বাজারে আসতে পারে। এছাড়াও আগামী ২০২৮ সালে লঞ্চ হতে যাওয়া আইপ্যাড এয়ার মডেল সিঙ্গেল-লেয়ার ওলেড ব্যবহার করবে, যেখানে আইপ্যাড প্রোর ডাবল-লেয়ার সংস্করণ থাকবে।
২০২৮ সালের দিকে ওলেড আইপ্যাড এয়ার মডেলে আইপ্যাড প্রো মডেলের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে আভাস দিচ্ছে। বিশ্লেষকদের দাবি, এয়ার মডেলটি এক-স্তরের ওলেড প্যানেল ব্যবহার করবে, যেখানে প্রো আরো ভালো পারফরম্যান্সের জন্য ডাবল-লেয়ার সংস্করণের সাথে আসবে।
ভিজ্যুয়াল আপগ্রেডের ক্ষেত্রে ট্যাবলেটগুলোর পাশাপাশি অ্যাপলের ম্যাকবুক সিরিজের ল্যাপটপগুলোতেও পরিবর্তন আনা হবে। আর যেহেতু ডিসপ্লেগুলো এলসিডি ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় অনেক বেশি প্রিমিয়াম এবং সক্ষম হবে, তাই ওলেড স্ক্রিন যুক্ত ল্যাপটপের চাহিদাও বাড়তে পারে। অ্যাপলের শক্তিশালী ট্যাবলেটের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাজারে অন্যান্য নির্মাতারাও তাদের ট্যাবের জন্য ওলেড প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে শুরু করবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এছাড়াও অ্যাপলের আসন্ন ফোল্ডেবল ডিভাইস নিয়েও বর্তমানে আলোচনা চলছে। বিশ্লেষকদের দাবি, ২০২৬ সালে ৭-৮ ইঞ্চির স্ক্রিন সাইজের একটি ফোল্ডেবল অ্যাপেল আইফোন বাজারে আসতে পারে। একটি বৃহত্তর ফোল্ডেবল স্ক্রিনের মাধ্যমে অ্যাপল তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী স্যামসাং এবং গুগল দ্বারা পরীক্ষিত প্রযুক্তিগুলোকে আরো নিখুঁত করতে পারে। যদিও স্যামসাং এবং গুগল ইতোমধ্যেই ফোল্ডেবল ফোনের বেশিরভাগ দিককে নিখুঁত করেছে। তবে অ্যাপলের কাছ থেকে আরো উজ্জ্বল, পরিষ্কার ভিজ্যুয়ালসহ একটি ব্র্যান্ড-নিউ ফোল্ডেবল আইফোন আশা করা হচ্ছে।