বাজারে বিক্রি হওয়া ১০০টি আইফোনের মধ্যে ৯৬টিই অবৈধ। অন্যান্য ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ৩৫টি। এমন পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজস্ব ফাঁকি রোধ এবং দেশীয় মোবাইল ব্র্যান্ডগুলোকে সুরক্ষা দিতে দ্রুত হ্যান্ডসেট নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
ইউনিক ডিজাইন, শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং অপারেটিং সিস্টেমে নতুনত্ব- এই সবমিলিয়ে স্মার্টফোনের জগতে তুমুল জনপ্রিয় আইফোন। তবে দেশে ব্যবহৃত আইফোনের বেশিরভাগই আসছে অবৈধপথে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে হ্যান্ডসেট উৎপাদকদের এই সংগঠন জানায়, বর্তমানে বছরে প্রায় ২ লাখের মতো আইফোন বিক্রি হচ্ছে। যার মাত্র ৮ থেকে ১০ হাজার আসছে বৈধপথে। ৫৭ শতাংশ রাজস্ব দিয়ে আইফোন আমদানি করে ৩টি প্রতিষ্ঠান; যার মধ্যে রয়েছে সেলেক্সট্রা লিমিটেড, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার এবং এক্সিকিউটিভ মেশিন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর দেড় থেকে দুই লাখ আইফোন বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বৈধ আইফোন আমদানিকারক আছে ৩টি প্রতিষ্ঠান। তারা প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ হাজার আইফোন আমদানি করে থাকে। তার মানে সংখ্যার হিসেবে মাত্র ৪ শতাংশ আইফোন বৈধভাবে দেশে বিক্রি হচ্ছে। বাকি সব অবৈধ উপায়ে দেশের বাজারে ঢুকছে।
দেশের বাইরে থেকে লাগেজে করে আসা এইসব অবৈধ ফোনের দাপটে স্বস্তিতে নেই দেশীয় ব্র্যান্ডগুলো। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আনা এইসব অবৈধ ফোনের সঙ্গে বৈধ হ্যান্ডসেটের দামের পার্থক্য রয়েছে মডেল ভেদে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার মোবাইল হ্যান্ডসেটের বাজারে ৩৫ শতাংশই অবৈধ ফোনের দখলে। এজন্য বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। যদিও এর বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কায় হ্যান্ডসেট উৎপাদকরা।
এছাড়া বর্তমানে দেশে হ্যান্ডসেট উৎপাদন ও সংযোজন করছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান। এখাতে কাজ করছে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। পাশাপাশি ২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগও হয়েছে বলে জানায় মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।