সারা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যান কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ‘নন-স্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ। রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান সিজন-২০ এর আওতায় ওয়ালটনের এসি কিনে ১ লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন রাজধানী উত্তরার ডা. ইয়াসীন আলী।
শনিবার (৭ এপ্রিল, ২০২৪) ডা. ইয়াসীন আলীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার তুলে দেন ওয়ালটনের কর্মকর্তাগণ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান, ওয়ালটনের ডেপুটি ডিরেক্টর অপূর্ব সরকার, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার নজরুল ইসলাম এবং নিকুঞ্জ ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার সুমন মোল্লা প্রমুখ।
সিজন-২০ এ ইয়াসিন ছাড়াও কেরাণীগঞ্জের জিঞ্জিরার তাজুল ইসলাম মিশু এবং হবিগঞ্জের নোয়াবাদের মোস্তফা আহমেদ ওয়ালটনের এসি কিনে ২০ হাজার টাকা করে ক্যাশ ভাউচার পেয়েছেন। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের হাতেও প্রাপ্ত ক্যাশ ভাউচার তুলে দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গাজীপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে মেডিল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন ডা. ইয়াসিন আলী। বাসায় ব্যবহারের জন্য তিনি ৬ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে রাজধানীর নিকুঞ্জ ওয়ালটন প্লাজা থেকে ৮ হাজার ৯৯০ টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ৫৬ হাজার ৯৯০ টকা মূল্যের ১ টনের একটি এসি কেনেন। এসিটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার একটি ম্যাসেজ যায়।
ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ডা. ইয়াসীন আলী বলেন, “যেকোনো পণ্য কেনায় সবসময় দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য দেই। বিদেশী পণ্যের বদলে দেশীয় ভালোমানের পণ্য কেনার পরিকল্পনা করি। ওয়ালটনের এসি যেমন দামে সাশ্রয়ী, তেমনি টেকসই এবং সার্ভিসও পাওয়া যায় দ্রুত। তাছাড়া ওয়ালটন এসিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় সবচেয়ে বেশি। তাই দেশীয় এই ব্র্যান্ডের এসি কিনেছি। কিন্তু এসি কিনে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাবো সেটা ভাবিনি। ওয়ালটন থেকে পাওয়া উপহারের ক্যাশ ভাউচার দিয়ে ১.৫ টনের আরেকটি এসি এবং অন্যান্য আরো কিছু ইলেকট্রনিক্স পণ্য নেবো। ক্রেতাদের নানান সুবিধা দেয়ায় ওয়ালটনকে ধন্যবাদ।
ওয়ালটন এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান, সারা বছরই এসির পক্ষ থেকে গ্রাহকদের নানা ধরণের সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। চলমান সিজনে মিলিয়নিয়ারসহ কোটি কোটি টাকার উপহার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া ওয়ালটন এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে আছে ১০ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি সুবিধা।
এখন ওয়ালটন এসির এক্সচেঞ্জ অফারে যেকোনো ব্র্যান্ডের নতুন কিংবা পুরাতন এসি বদলে নতুন ওয়ালটন স্পিøট এসি ২৩ হাজার টাকা এবং কমার্সিয়াল এসি ৪২ হাজার ৪৮০ টাকা পর্যন্ত ছাড়ে কিনতে পারছেন গ্রাহক।
আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ৮০টির অধিক সার্ভিস সেন্টারের পাশাপাশি প্রায় ৩ হাজার সার্ভিস এক্সপার্টদের মাধ্যমে দেশব্যাপী এসির গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। তাদের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসি ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছে তারা।