যুক্তরাষ্ট্রে সব ধরনের চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়েছে সোস্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুক। এ কর্মীদের ঘণ্টায় ন্যূনতম মজুরি ১৫ ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০ ডলার নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত সোমবার ফেসবুকের দেয়া এক ঘোষণায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে। অন্যান্য দেশেও একই ধরনের মজুরি কাঠামো প্রণয়ন নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।
যুক্তরাষ্ট্রে একদিকে জীবন ধারণের ব্যয় বাড়ছে, অন্যদিকে সাধারণ কর্মীদের প্রতি আচরণ ও কেমন বেতন দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে কড়া নজরদারির মধ্যে রয়েছে ফেসবুক। এসব কারণেই প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মীদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সানফ্রান্সিসকো বে এরিয়া, নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে কর্মরত ফেসবুক কর্মীদের ঘণ্টায় ন্যূনতম ২০ ডলার মজুরি দেয়া হবে। আর সিয়াটলের ফেসবুক কর্মীরা পাবেন ১৮ ডলার। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত বাবুর্চি, ক্লিনার, নিরাপত্তাকর্মী অথবা গাড়িচালকরা ঘণ্টায় ১৫ ডলার মজুরি পাচ্ছেন, যা জীবন ধারণের জন্য মোটেও পর্যাপ্ত নয় তা পরিষ্কার।
এছাড়া ফেসবুকের কন্টেন্ট পর্যালোচনাকারীদের ন্যূনতম মজুরিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। বে এরিয়া, নিউইয়র্ক সিটি এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে কন্টেন্ট পর্যালোচনার জন্য নিয়োজিত কর্মীদের ঘণ্টায় ন্যূনতম ২২ ডলার দেয়া হবে। এ বিভাগে কর্মরত সিয়াটলের কর্মীরা পাবেন ২০ ডলার করে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মেট্রো এলাকার কর্মীদের ১৮ ডলার করে মজুরি দেয়া হবে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালে ঘণ্টা হিসেবে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করেছিল ফেসবুক। প্রযুক্তি খাতের এলিট শ্রেণীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সর্বনিম্ন মজুরিপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে বৈষম্য কমিয়ে আনতেই মূলত সে সময় মজুরি বৃদ্ধি করা হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয় আকাশচুম্বী হয়ে ওঠার কারণে আয়বৈষম্য হ্রাসে চাপে রয়েছে সিলিকন ভ্যালি। অফিস ফর লেবার স্ট্যান্ডার্ড এনফোর্সমেন্ট জানিয়েছে, জুলাই থেকে সানফ্রান্সিসকোয় ঘণ্টাপ্রতি সর্বনিম্ন মজুরি ১৫ ডলার ৫৯ সেন্টে উন্নীত করা হয়েছে।