চলতি অর্থবছরে ভারত থেকে মোট ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের স্মার্টফোন রফতানি হয়েছে। এর মধ্যে আইফোনের রফতানি বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। সম্প্রতি দেশটির সরকারি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। খবর ইটি টেলিকম।
২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ১ হাজার ১১০ কোটি ডলার মূল্যের স্মার্টফোন রফতানি করা হয়েছিল। চলতি অর্থবছরে মোট রফতানির ৬৫ শতাংশই ছিল অ্যাপলের নিয়ন্ত্রণে। সে হিসাবে কোম্পানিটি মোট ১ হাজার কোটি ডলার মূল্যের পণ্য বাজারজাত করেছে, যা ২০২৩ অর্থবছরের ৫০০ কোটি ডলারের দ্বিগুণ।
সরকারি নথির তথ্যানুযায়ী, মোবাইলসহ ভারতে ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন খাতে ১২ লাখের বেশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরে দেশটি ৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি পণ্য তৈরি করেছে।
ভারতের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মোবাইল ফোন উৎপাদনে আমরা ভালো সফলতা পেয়েছি। স্থানীয় পর্যায়ে মূল্যসংযোজন বৃদ্ধি পেয়েছে। কেননা বর্তমানে ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান ভারতেই তৈরি হচ্ছে।’
তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী আরো জানান, ভারতে স্মার্টফোন উৎপাদন এবং রফতানির হার আরো বাড়বে। কেননা কোম্পানিগুলো এখন স্থানীয় পর্যায়ে তাদের পুরো ইকোসিস্টেম তৈরির কাজ করছে। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে ডিজাইন করার সক্ষমতাও বাড়ছে।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সামগ্রিকভাবে ভারত থেকে ইলেকট্রনিক পণ্য রফতানি ২৪ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৯১২ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। যেখানে আগের অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলার। তবে একই সময়ে দেশটির অন্যান্য পণ্যের রফতানি ৩ দশমিক ১১ শতাংশ কমেছে।
২০২২ অর্থবছরে প্রডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিমের কারণে সেলফোন রফতানি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে। কেননা এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাপলের অন্যতম তিন সরবরাহকারী ফক্সকন, পেগাট্রন ও উইস্ট্রন ভারতে কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারি অনুমোদন ও সহায়তা পেয়েছিল। অন্যদিকে ভারতের ডিক্সন, লাভা, ইউটিএল ও অপ্টিমাসসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ স্কিমের জন্য অনুমোদন পেয়েছিল।
শিল্প সংস্থা ইন্ডিয়া সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস অ্যাসোসিয়েশনের (আইসিইএ) চেয়ারম্যান পঙ্কজ মহিন্দ্র বলেন,৷ ‘গত আট বছরে ভারতের মোবাইল ফোন উৎপাদন খাত ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিশেষ করে শেষ তিন বছর অনেক ভালো ফল দেখিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তবে এ অর্জনের কারণে কাজ থামানো যাবে না। শুল্ক ও কর সুবিধার পাশাপাশি শিল্প অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে তুমুল প্রতিযোগিতাময় বাজারে টিকে থাকতে হবে এবং এর মাধ্যমে ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে ৫ হাজার কোটি ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।’