কেএম নাহিদ : মরব না বাঁচব? ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারদের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিল মালয়েশিয়ার কুচিং শহরের বছর ষোলোর এক কিশোরী। পোস্টে লেখেন, ‘সত্যিই জরুরি। ডি (ডাইড) /এল (লিভ) বেছে নিতে আমাকে সাহায্য করুন।’ অনেকেই মজা ভেবে ‘ডি’ বেছে নিয়েছিলেন। (আজকাল)
অর্থাৎ তার মারা যাওয়ার পক্ষে ভোট দিলেন। আর সেই উপদেশ মেনেই গত ১৪ মে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। ওই রাত ৮টা নাগাদ একটি উঁচু বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দেয় সে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিস। গোটা ঘটনাটির তদন্তে নেমেছেন আধিকারিকরা। তদন্তেই সামনে আসে ইনস্টাগ্রামে পোস্টের ব্যাপারটি। দেখা যায়, আত্মহত্যার পাঁচ ঘণ্টা আগে ওই তরুণী ইনস্টাগ্রামে ওই পোস্টটি করেন। স্থানীয় পুলিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই পোস্টে ৬৯ শতাংশ ফলোয়ার ডাই বা ডিএর পক্ষে ভোট দেন যা ওই কিশোরীকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেছে। তিনি আরও বলেন, মেয়েটির ফেসবুক পোস্ট থেকে ধারণা করা যায় মেয়েটি চ‚ড়ান্ত হতাশায় ভুগছিল। আর সেকারণেই এই পথ বেছে নিয়েছে সে।