নবায়নযোগ্য শক্তি গবেষোণায় এবার বাংলাদেশকে একধাপ এগিয়ে নিলো দেশের অন্যতম স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ চট্টগাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। সম্প্রতি চুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অত্যাধুনিক মাইক্রোগ্রীড রিয়েল-টাইম সিমুলেশন ল্যাব প্রতিস্থাপনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে চুক্তিসাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা ও গবেষণাখাতে এমন একটি অত্যাধুনিক গবেষণাগার বাংলাদেশকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দেশের মেধাকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন চুয়েট কর্তৃপক্ষ। এর নেপথ্যে রয়েছে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের সাতজন ডক্টরেট করে আসা তরুণ শিক্ষক। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন এমন একটি উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করবে এবং সরকারি ও বেসরকারি গবেষণাখাতকে আরো বেশি প্রতিযোগি করে তুলবে। গবেষণাখাতে এমন যুগোপযুগী পদক্ষেপ ও সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ থাকলে দেশের মেধাবী গবেষকরাই বহির্বিশ্বের সাহায্য ছাড়াই দেশের উন্নয়নে নিজেদের অবদান রাখবে বলে জানান চুয়েট কর্তৃপক্ষ।
গবেষণাগারটির যন্ত্রাংশ সরবরাহ, সংস্থাপন, পরীক্ষণ-নীরিক্ষণের কাজের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান “আইকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ট্রেডিং কোম্পানী”কে। চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন চট্টগাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর ড. সুদীপ কুমার পাল এবং আইকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ট্রেডিং কোম্পানী এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহমাদুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, “আইকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ট্রেডিং কোম্পানী’র সেলস প্রধান মোঃ আহসান হাবিব সহ প্রতিষ্ঠান দুটির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
গবেষণাগারটির সকল যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা হবে কানাডার ওপাল-আরটি টেকনোলজিস লি: থেকে। মাইক্রোগ্রীড ডিজাইন, মাইক্রোগ্রীড কন্ট্রোলার ডিজাইন, হার্ডওয়্যার-ইন-লূপ সিস্টেম ডেভলপমেন্ট এন্ড রিয়েল টাইম সিমুলেশন এর জন্য এধরনের একটি ডিজিটাল গবেষণাগার মাইলফলক স্বরূপ।
প্রধানমন্ত্রীর ভিশন “টেকসই ও মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং উন্নয়নের জন্য গবেষণা” এই প্রতিপাদ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে এমন একটি অত্যাধুনিক গবেষণাগার অন্যতম পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে চুয়েট কর্তৃপক্ষ।