আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের বাজারে যাত্রা শুরু করেছে স্মার্টফোন প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ানপ্লাস। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্মার্টফোন এনেই দেশে তারা এ যাত্রা শুরু করল। এর ফলে এখন থেকে দেশেই এই ব্র্যান্ডের অফিসিয়াল ফোন পাওয়া যাবে। সাথে মিলবে বিক্রয়োত্তর সেবাও।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ানপ্লাসের বাংলাদেশে যাত্রার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ সময় জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডের প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ব্যতিক্রমধর্মী বিক্রয়-পরবর্তী সেবা, বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সাপোর্ট সিস্টেম নিশ্চিত করার ঘোষণা দেন ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ’র সিইও মেঙ্ক ওয়াং।
এসময় ওয়ানপ্লাস এর ব্র্যান্ড স্ট্রাটেজি ডিরেক্টর মি. টমাস, বাংলাদেশের রিটেইল ডিরেক্টর মি উইলার্ড প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সবচেয়ে আকর্ষণ ছিলো-‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ওয়ানপ্লাস স্মার্টফোন ‘ নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি’ ‘ উন্মোচন। এই মডেলটি বাংলাদেশে তৈরি, যার দাম মাত্র ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। এই ফোনে মিলবে ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম। এতে রয়েছে মিডিয়াটেক ডায়মেনসিটি প্রসেসর, ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি এবং ৩৩ ওয়াটের সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তি।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত প্রথম মডেল নর্ড এন৩০ এসই ফাইভজি’র মধ্য দিয়ে ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশে তৈরি ফাইভজি স্মার্টফোনের বিস্তৃত সমাহার নিয়ে আসবে ওয়ানপ্লাস-বলেও জানানো হয়। এই ভ্যারিয়েন্টটি শোরুমে পাওয়া যাবে আগামী ২২ মে থেকে।
এ বিষয়ে ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশ’র সিইও মেঙ্ক ওয়াং বলেন, ‘সারাবিশ্বের মানুষের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য; আর বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করার মধ্য দিয়ে আমাদের এই লক্ষ্য পূরণের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেলাম। স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা একটি প্রোডাক্ট ইকোসিস্টেম তৈরি করবো, যা ক্রেতাদের জন্য আকর্ষণীয় মূল্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
বাংলাদেশের ক্রেতারা কম দামে ওয়ানপ্লাস স্মার্টফোন কিনতে পারবেন-বলেও জানান তিনি।
ওয়ানপ্লাস মূলত চীনের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। যাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর। শুরুতে ফ্ল্যাগশিপ কিলার স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। অর্থাৎ ফ্ল্যাগশিপ ফোনের ফিচার কম দামের ফোনে পাওয়া যেত। বাজারে আসে ওয়ানপ্লাসের একের পর এক স্মার্টফোন। ধীরে ধীরে ব্র্যান্ডটি তরুণদের মনে জায়গা করে নেয়।