এখানকার স্মার্টফোনে একাধিক সিম স্লট থাকে। অর্থাৎ ফোনগুলোতে একাধিক সিম ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ফলে অনেকেই নিজের নামে একাধিক সিম কেনেন। কিন্তু সব সিম সমানভাবে ব্যবহৃত হয়। কিছু সিম আছে প্রয়োজন হবে এই ভেবে কিনে রাখলেও কল, বার্তা আদান-প্রদান করা হয় না। বছরের পর বছর ঘরেই পরে থাকে। আপনারও যদিও একাধিক সিম থাকে তবে এখনই সচেতন হোন। আপনার অবহেলায় হারাতে পারেন সিমের মালিকানা।
দেশের মোবাইল ফোন অপারেটর এয়ারটেল তাদের ব্যবহারকারীদের এমনটাই জানাল। এক গণবিজ্ঞপ্তিতে অপারেটরটি জানায়, `প্রিয় গ্রাহক, আপনার যদি কোনো এয়ারটেল সিম থেকে থাকে যা ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে অব্যবহৃত, তাহলে ১৪ আগস্ট, ২০২৪ তারিখের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে পুনরায় সিমটি চালু করে নিন। বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী উক্ত সময়ের পর সিমটির মালিকানা দাবি করা যবে না।’
মূলত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নিয়ম অনুযায়ী সিম কোম্পানি কাজটি করে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী, একটি নির্দিষ্ট সময় সিম ব্যবহার না করা হলে মালিকানা চলে যায়। আর তখন সিম কোম্পানি বৈধভাবে অন্য গ্রাহকের কাছে নম্বরটি বিক্রি করে দেয়।
বন্ধ সিমের মালিকানা চলে যাবে কত দিন পর?
বিটিআরসির বন্ধ সিমের মালিকানা সংক্রান্ত একটি নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুসারে, টানা ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন সিম বন্ধ থাকলে সিমের মালিকানা চলে যায়।
কীভাবে সিমটি সচল করবেন?
এক্ষেত্রে প্রথমেই ওই সিমের নম্বরে রিচার্জ করুন। এরপর কিছুদিন কল, বার্তা আদান-প্রদান করুন। তাহলে সচল থাকবে আপনার সিম। আর এর ফলে সিমের মালিকানাও অন্যের নামে চলে যাবে না।