জনপ্রিয় গাড়ির ব্র্যান্ড টাটা। এরই মধ্যে বাজারে অসংখ্য গাড়ি এনেছে বাজারে। বছরের শুরু থেকেই বেশ কয়েকটি গাড়ি এসেছে টাটার। আরও ৩ নতুন গাড়ি বাজারে আসছে টাটা মোটরসের। যার মধ্যে রয়েছে ২টি এসইউভি এবং একটি হ্যাচব্যাক। এই গাড়িগুলোর মধ্যে একটি সিএনজি ও একটি ইভি রয়েছে।
টাটা নেক্সন সিএনজি
চলতি বছর জানুয়ারিতে এই গাড়িটি উন্মোচন করে টাটা মোটরস। যদিও এরই মধ্যে দেশের প্রথম অটোমেটিক ট্রান্সমিশনযুক্ত সিএনজি গাড়ি উন্মোচন করে ফেলেছে টাটা মোটরস। সেই গাড়ি হলো টাটা টিয়াগো ও টাইগার সিএনজি। এই সুবিধা থাকবে নেক্সনেও। ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় কম্প্যাক্ট এসইউভি টাটা নেক্সন। এতে থাকবে ফ্যাক্টরি ফিটেড টারবো চার্জ সিএনজি প্রযুক্তি। যা পারফরম্যান্সের সঙ্গে দুর্দান্ত মাইলেজ দিতে সাহায্য করবে। এতে থাকবে ১.২ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন সঙ্গে টারবো চার্জ সিএনজি সিলিন্ডার। গাড়িতে ফিচার্স সব একই থাকবে। বর্তমান মডেলের তুলনায় ১ লাখ টাকা বেশি দাম থাকতে পারে।
টাটা অলট্রোজ রেসার
টাটা অলট্রোজ রেসার গাড়িটিও উন্মোচন করে ফেলেছে টাটা মোটরস। অলট্রোজ গাড়ির স্পোর্টি ভার্শন হতে চলেছে এই হ্যাচব্যাক। গাড়িতে ১.২ লিটার টারবো পেট্রোল ইঞ্জিন পাওয়া যাবে যা সর্বোচ্চ ১২০ হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করবে। যা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের তুলনায় ১০ হর্সপাওয়ার বেশি। সঙ্গে মিলবে ৬ স্পিড অটোমেটিক ট্রান্সমিশন। গাড়িটি জুন মাসে বাজারে লঞ্চ করতে পারে টাটা মোটরস।
টাটা কার্ভ
এটি কোম্পানির বহু প্রতীক্ষিত একটি চার চাকা। সেপ্টেম্বরে লঞ্চ হতে পারে এই চার চাকা। গাড়িতে বেশ কিছু নতুনত্ব থাকবে। কূপ ডিজাইনের সঙ্গে পাওয়া যাবে স্মার্ট ফিচার্স। টাটা কার্ভ পেট্রোল-ডিজেলের পাশাপাশি ইলেকট্রিক ব্যাটারিতেও বিক্রি হবে। এতে ১.২ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন থাকবে যা সর্বোচ্চ ১২৫ হর্সপাওয়ার শক্তি তৈরি করবে। গাড়িতে টারবো পেট্রোল ইঞ্জিন পাওয়া যাবে। সঙ্গে মিলবে ১.৫ লিটার ডিজেল ইঞ্জিনের বিকল্প। যে ইলেকট্রিক ভ্যারিয়েন্ট আসবে তাতে ফুল চার্জে ৪৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার রেঞ্জ পাওয়া যেতে পারে। ২০২৪ সালের শেষ কিংবা ২০২৫ সালের প্রথম দিকেই বাজারে আসতে পারে টাটা কার্ভ।