‘ব্ল্যাক উইডো’খ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসনের কণ্ঠস্বর নকলের অভিযোগ উঠেছে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে। এর পরপরই সেই বিতর্কিত কণ্ঠটিকে চ্যাটবট থেকে সরিয়ে ফেলেছে ওপেনএআই।
ওপেনএআইয়ের এ পদক্ষেপ নেওয়ার পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন জোহানসন। কণ্ঠস্বরটি ‘স্কাই’ নামে পরিচিত, যা ব্যবহারকারীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলার মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনের সুযোগ দিত চ্যাটজিপিটি’কে। চ্যাটবটটির নতুন এআই টুলের মধ্যে থাকা বেশ কিছু ভয়েস অপশনের একটি ছিল এটি।
তবে জোহানসনের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে স্কাইয়ের কণ্ঠের মিল থাকায় সাম্প্রতিক দিনগুলোয় সমালোচনা ও বিদ্রুপের মুখে পড়েছে কোম্পানিটি। এটি নিয়ে সমালোচনা এতোটাই হয়েছে যে, ‘স্যাটারডে নাইট লাইভ’-এ বিষয়টি নিয়ে উপহাস করতে দেখা যায় অভিনেত্রীর স্বামী কলিন জস্টকেও।
অনেকেরই দাবি- এ কণ্ঠস্বরটির যোগসূত্র থাকতে পারে জোহানসনের অভিনীত ‘হার’ সিনেমার চরিত্রের সঙ্গে। এতে তিনি এমন এক ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের ভূমিকায় অভিনয় করেন, যার প্রেমে পড়ে যায় এক পুরুষ। এমনকি এর আগে ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যানও বলেছিলেন, এটি তার সবচেয়ে পছন্দের সিনেমা।
জোহানসন দাবি করেছেন, এর আগে চ্যাটবটের সিস্টেমে তার কণ্ঠস্বর ব্যবহারের জন্য যোগাযোগ করেছিলেন অল্টম্যান। এই অভিনেত্রী জানান, “গত বছরের সেপ্টেম্বরে, আমি স্যাম অল্টম্যানের কাছ থেকে একটি অফার পাই, যিনি ‘চ্যাটজিপিটি ৪.০’তে আমার কণ্ঠস্বর ভাড়া করতে চেয়েছিলেন।”
জোহানসন আরও বলেন, “তিনি আমাকে বলেন, তার মনে হয়েছে, আমার কণ্ঠস্বর এ সিস্টেমে ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি ও সৃজনশীল ব্যক্তির মধ্যে দূরত্ব কমে আসবে। এমনকি মানুষের এআইয়ের প্রতি ঝুঁকে পড়ার চলমান শঙ্কার মধ্যে গ্রাহকরা এটি স্বাচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারবেন। আর তার মনে হয়েছে, আমার কণ্ঠস্বর লোকজনের কাছে আরামদায়ক অনুভূত হতে পারে।”
তিনি জানান, “কিন্তু আমাদের মধ্যে সংযোগ ঘটার আগেই সিস্টেমটি বের হয়ে গেছে। তাদের এমন পদক্ষেপের বিপরীতে আমি আইনি পরামর্শক ভাড়া করতে বাধ্য হয়েছি, যিনি অল্টম্যান ও ওপেনএআইকে দুটি চিঠি পাঠিয়েছেন। এতে উল্লেখ ছিল, তারা কী করেছে। পাশাপাশি, স্কাইয়ের কণ্ঠ তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয় এতে। এর পরপরই স্কাইয়ের কণ্ঠ সরিয়ে ফেলতে একপ্রকার বাধ্য হয় ওপেনএআই।”