যাত্রা শুরুর মাত্র তিন বছরের মধ্যেই দেশের সফল স্টার্টআপ ইউনিকর্ন হিসেবে মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদ নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একই সঙ্গে ডাক বিভাগের নীতিগত সমর্থন নিয়ে গত চার বছরে তারা সরকারকে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা আয়ের ভাগ দিয়েছে বলেও জানান তিনি।বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) নবনির্বাচিত পরিচালক বোর্ডের অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, নগদ আমাদের ডাক বিভাগের একটি অংশীদার। ডাক বিভাগের ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ওয়ার্ক ফোর্স, পলিসি সাপোর্ট নিয়ে তারা নিজেরা যেমন মাত্র তিন বছরের মধ্যে একটা সফল স্টার্টআপ ইউনিকর্ন হয়েছে, অন্যদিকে সরকারকে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা রেভিনিউ শেয়ার করেছে।
এর আগে অপর এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ নিয়ে উৎসাহিত করার কারণে ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে গ্রাহকদের যেমন সুলভ মূল্যে সেবা দেওয়া গেছে, ক্যাশলেস সমাজ ও ক্যাশলেস অর্থনীতি গড়ার দিকে এগিয়েছে। অপরদিকে ডাক বিভাগেরও আয় হচ্ছে। সর্বশেষ বছরেও নগদ অংশীদারত্বের চুক্তি অনুসারে ডাক বিভাগকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার ওপরে আয় শেয়ার করে বলেও জানান তিনি।
নগদের উত্থানে ডাক বিভাগ ও জুনাইদ আহমেদ পলকের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর এ মিশুক বলেন, ডাক বিভাগ শুরু থেকে আমাদের সমর্থন দিয়ে আসছে। আর প্রতিমন্ত্রী আমাদের জন্মলগ্ন থেকে পাশে আছেন।
নগদ ডিজিটাল ব্যাংক চালু হলে বেসিসের সব সদস্যর জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধার কথা উল্লেখ করে নগদের প্রধান নির্বাহী বলেন, বেসিস আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি জগতের নীতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। তাদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি অনুরোধ করবো সময়ের প্রয়োজন অনুযায়ী তারা যেন পলিসি আপডেটে ভূমিকা রাখেন। আমিও কথা দিচ্ছি, বেসিসের সব উদ্যোক্তার জন্য জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা করবে নগদ ডিজিটাল ব্যাংক।
ডাক বিভাগের সঙ্গে নগদের চুক্তি অনুসারে, আয়ের ৫১ শতাংশ পায় ডাক বিভাগ। সে অনুসারে ২০২০ সালে নগদ ডাক বিভাগকে দিয়েছিল এক কোটি ১২ লাখ টাকা। নগদের সেবার যত প্রসার হচ্ছে, সেবার কলেবর এবং গ্রাহক যত বাড়ছে; ততই আয় যোগ হচ্ছে ডাক বিভাগের ঘরেও। ২০২১ সালে নগদের কাছ থেকে ডাক বিভাগ পেয়েছে তিন কোটি ৩২ লাখ টাকা। ২০২২ সালে ৪ কোটি ৫০ লাখ এবং সর্বশেষ ২০২৩ সালের আয় থেকে ডাক বিভাগ পেয়েছে ৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা।২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় নগদের। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকেই ২০২৩ সালে দেশের দ্রুততম স্টার্টআপ কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পায় নগদ।সোমবার (২০ মে) বেসিসের অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম এবং বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।