কম্পিউটারে খেলার ক্ষেত্রে অনেক সময় গেম বন্ধ হয়ে যায়। আবার কোনো সময় গেমের ফ্রেম ড্রপ করে বা কমে যায়। একটু ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার হলেও এ সমস্যা কম-বেশি দেখা যায়। এসব সমস্যা তৈরির পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। যেগুলো মেনে চললে বা লক্ষ্য রাখলে পুনরায় এ সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যাবে।
সিস্টেম হার্ডওয়্যার বা পুরনো কম্পিউটার: প্রতিটি গেম খেলার জন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে পিসি রিকয়ারমেন্টস বা ন্যূনতম বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে। তবে অনেক গেমারই এ বিষয়টি ভুলে যান। এ কারণে অনলাইন বা অফলাইন যেকোনো গেম কেনার আগে সিস্টেম রিকয়ারমেন্টস বা কী বৈশিষ্ট্য কম্পিউটারে থাকতে হবে, তা যাচাই করে নিতে হবে। যদি সমস্যা থাকে তাহলে আগে কম্পিউটার আপডেট করতে হবে।
অতিরিক্ত ওভারক্লকিং: ওভারক্লকিং হচ্ছে কোম্পানি বর্ণিত সক্ষমতার তুলনায় কম্পিউটারকে বেশি গতিতে চালানো। বর্তমানে সেভাবে ওভারক্লকিং না করা হলেও গেমাররা বেশি সুবিধা পাওয়ার জন্য এখনো এ কাজ করে থাকেন। যদি ভালো কুলিং ও এয়ারফ্লো সিস্টেম থাকে তাহলে ওভারক্লকিং থেকে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে এখান থেকে গেম বন্ধ হওয়া বা ক্র্যাশ করার মতো সমস্যা হয়ে থাকে।
গেম সেটিংসের বিপরীতে হার্ডওয়্যারের সীমাবদ্ধতা: গেম খেলার সময় ভালো গ্র্যাফিকস অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য বর্তমানে আলাদা সেটিংস দেয়া থাকে। ফলে কম্পিউটারে থাকা হার্ডওয়্যারের সক্ষমতার তুলনায় অনেক সময় গেমের গ্র্যাফিকস বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে, যা গেম খেলায় সমস্যা তৈরি করে। এজন্য গেমে থাকা ভিডিও কনফিগারেশন সেটিংস থেকে হার্ডওয়্যারের সক্ষমতা অনুযায়ী সব নির্ধারণ করতে হবে।
পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের তুলনায় বেশি শক্তির জিপিইউ: সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় গেমিং ডিভাইসে বেশি সক্ষমতার পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ব্যবহার করা উচিত। কেননা গেম খেলার সময় প্রসেসর, জিপিইউ থেকে শুরু করে সব যন্ত্রাংশ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকে। তখন গেম ক্র্যাশ বা হ্যাং করতে পারে।
পুরনো ড্রাইভার বা অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার: কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম বা বিভিন্ন ড্রাইভার যদি পুরনো থাকে তাহলে গেম ক্র্যাশ করবে। এক্ষেত্রে ভিডিও ও অডিও ড্রাইভার সবসময় আপডেট রাখতে হবে।
কম গতির ইন্টারনেট: অনলাইনে গেম খেলার ক্ষেত্রে বেশি গতির ইন্টারনেট সংযোগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেটের গতি যদি কম থাকে তাহলে তা গেম খেলার সময় সমস্যা তৈরি করবে। অনেক গেম খেলার জন্য ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের (ভিপিএন) প্রয়োজন হয়। সেগুলোর সার্ভারে সমস্যা হলেও গেম ক্র্যাশ করতে পারে।
গেম মোড চালু না করা: গেম খেলার আগে কম্পিউটারে থাকা গেম মোড চালু করে নেয়া উচিত। এতে গ্র্যাফিকস থেকে শুরু করে র্যাম ও স্টোরেজ ম্যানেজমেন্টও গেমের প্রয়োজন অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। এজন্য উইন্ডোজের সেটিংস থেকে গেম মোড চালু করে দিতে হবে।
ব্যাকগ্রাউন্ডে একাধিক অ্যাপ চালু থাকা: গেম খেলার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রয়োজনীয় কোনো অ্যাপ চালু রাখা যাবে না। গেমসংশ্লিষ্ট অ্যাপ ছাড়া বাকিগুলো বন্ধ করে দেয়াই ভালো। কেননা এগুলো র্যাম থেকে শুরু করে গ্র্যাফিকস প্রসেসিং, ইন্টারনেটের গতির ওপর প্রভাব ফেলে।