বর্তমান সময়ের স্মার্টফোনে বিভিন্ন ফিচার থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্রাইটনেস বা ডিভাইসের ডিসপ্লে উজ্জ্বলতা নিয়ন্ত্রণের উপায়। এর মাধ্যমে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহারকারী উজ্জ্বলতা বাড়াতে বা কমাতে পারেন। আবার অ্যাডাপ্টিভ ব্রাইটনেস ফিচারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
প্রয়োজন ছাড়া স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস বেশি কমিয়ে বা বাড়িয়ে রাখা চোখের জন্য ক্ষতিকর। প্রয়োজনের বেশি উজ্জ্বলতা স্বাভাবিক কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব ফেলে। কেননা বর্তমানে গ্রাহককে আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি ৬ হাজার নিটস পর্যন্ত উজ্জ্বলতা দিয়ে থাকে।
অধিক উজ্জ্বলতার জন্য বেশি ব্যাটারি ব্যয় হয় এবং তা ডিভাইসের তাপমাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। আর এতে ডিভাইসের কার্যকারিতা নষ্ট হয় এবং ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে ডিভাইস ও চোখের ক্ষতি এড়াতে ডিসপ্লের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখতে হবে।
অধিক উজ্জ্বল ডিসপ্লে ব্যবহারের কারণে তা চোখের ওপর চাপ তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক আলোয় কাজ করতে সমস্যা হয়। চোখে ব্যথা, পানি পড়াসহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়।
অন্যদিকে অধিক উজ্জ্বলতা ছাড়াও ডিভাইস গরম হওয়ার আরো কিছু কারণ রয়েছে। ফোনে বেশিক্ষণ গেম খেললে স্মার্টফোন খুব গরম হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যদি গরম ঘরে বা বাড়ির বাইরে অর্থাৎ সরাসরি সূর্যের আলোর নিচে দাঁড়িয়ে কেউ গেম খেলে, তাহলে ফোন দ্রুত গরম হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এতে ব্যাটারিসহ পুরো ডিভাইসের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ফোনকে অতিরিক্ত গরম হওয়া থেকে রক্ষা করতে এবং ফোনের আয়ু বাড়াতে ফোনে কিছু সময় অন্তর বিরতি দিয়ে এবং বাড়ির ভেতরে বায়ু চলাচল করে এমন ঘরে বসে গেম খেলা উচিত। এতে করে ফোন দ্রুত গরম হওয়া থেকে রক্ষা পাবে। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখতে হবে।