ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কের কর অবকাশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আগের মতই ১০ বছরের জন্য এ সুবিধা রাখছে সরকার।
শনিবার বাজেট সমাপনী বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর অবকাশ বহাল থাকার কথা বলেন।
এরপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলেন, শিগগির এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবেন তারা।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী কর অবকাশ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এখন সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে।
বিনিয়োগকারীদের দাবি করছিলেন, কর অবকাশ সুবিধার কথা জেনেই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ এসেছে। ফলে এ সুবিধা প্রত্যাহার করলে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও টেকনোলজি হস্তান্তর করার উদ্দেশ্যে আমরা হাইটেক পার্ক এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছি।
”হাই-টেক পার্ক এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের লক্ষ্যে ৩০ জুন ২০২৪ তারিখের মধ্যে যে সকল প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদের জন্য বিদ্যমান কর অব্যাহতি সুবিধা আমরা অব্যাহত রাখব।”
“বাংলাদেশে নিবন্ধিত সম্পূর্ণ নতুন কোম্পানি হাইটেক পার্ক এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগপূর্বক ৩০ জুন ২০৩৫ তারিখের মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করলে তাদেরও আমরা ১০ বছরের জন্য নির্ধারিত হারে কর অব্যাহতি সুবিধা দেব,“ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কর আইন) বাপন চন্দ্র দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শিগগির আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করব।”
বাংলাদেশে মোট ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য কাজ করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৯৭টি অনুমোদন পেয়েছে।
১১টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরও কয়েকটির কাজ এগিয়ে চলেছে।
অন্যদিকে দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে হাইটেক পার্ক অথবা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অথবা আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ৯২টি। এর মধ্যে ১১টি হাইটেক পার্ক এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠা হয়েছে।