লিকডসোর্স ডটকম ৩১ লাখ অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরি করে ১ লাখ ৮৩ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি করে দিয়েছে। এ অপরাধের পেছনে হাত থাকার কথা স্বীকার করেছে ডেফিয়ান্ট টেক ইনকরপোরেশন নামে কানাডীয় একটি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি কোম্পানিটি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (আরসিএমপি) পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২০১৫ সালের শেষের দিকে লিকডসোর্সের ওয়েবসাইটটি খোলা হয়। ২০১৬ সালেই এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে থাকে। ওয়েবসাইটটি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান হ্যাকারদের কবলে পড়া বিভিন্ন কোম্পানি, পাবলিক ডোমেইন অথবা হ্যাকারদের থেকে কেনা তথ্য নিজেদের কাছে জমিয়ে রাখত। হ্যাকারদের মাধ্যমে বেহাত হওয়া এসব তথ্যের মধ্যে ইউজার নেম, প্রকৃত নাম, ইমেইল, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর এমনকি পাসওয়ার্ডও থাকত। সাইটটিতে অর্থের বিনিময়ে বেআইনিভাবে সংগৃহীত এসব তথ্য পাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হতো।
লিকডসোর্স ডটকম হ্যাকিং ফোরামগুলোয় বিজ্ঞাপন দিয়ে বলত, তারা নামিদামি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে হ্যাকারদের সহায়তা করতে পারে। নিজেদের এসব কর্মকাণ্ডকে প্রায়ই বৈধ ব্যবসা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছে লিকডসোর্স। প্রতিষ্ঠানটির সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড নিয়ে ২০১৬ সালে তদন্ত শুরু করে কানাডা পুলিশ।
তদন্ত শুরুর এক বছর পর অর্থাৎ ২০১৭ সালে ওয়েবসাইটটির প্রধান পরিচালনাকারী জর্ডান ইভান ব্লুমকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। কানাডা কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ডেফিয়ান্ট টেক নামে একটি কোম্পানিকে সামনে রেখে আড়াল থেকে সামগ্রিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত লিকডসোর্স।
কানাডা পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস, ‘গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য’ প্রকাশ করে প্রায় ২ লাখ ৪৭ হাজার কানাডীয় ডলার (১ লাখ ৮৩ হাজার মার্কিন ডলার) অর্থ কামিয়েছে ব্লুমের কোম্পানিটি।
২০১৬-১৭ সময়ের মধ্যে ৩১ লাখের বেশি অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে লিকডসোর্স। টুইটার, লিংকডইন, ভিকে ডটকমসহ নামিদামি অনেক কোম্পানির ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্লুমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। চলতি সপ্তাহে কোম্পানিটি অভিযোগ স্বীকার করেছে।