আফ্রিকার বিভিন্ন দেশকে নিশানা করে শত শত ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নির্বাচনসহ রাজনৈতিক সংবাদ পোস্ট করত ইসরায়েলের একটি প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের ২৬৫টি অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। এছাড়া ‘পরিকল্পিতভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণের’ অভিযোগ এনে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠানটিকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় প্লাটফরম ব্যবহার করে নানা ধরনের ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এ প্রবণতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় চরম সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেসবুক। এ অবস্থায় ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে সতর্ক হয়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পরই ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ প্রোগ্রাম চালু করে ফেসবুক।
এক ব্লগ পোস্টে ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েল থেকে খোলা হয়েছে এমন ২৬৫টি মিডিয়া অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছে তারা। নাইজেরিয়া, সেনেগাল, অ্যাঙ্গোলা, নাইজার ও তিউনিসিয়ার মতো আফ্রিকার দেশগুলোকে লক্ষ্য করে এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নানা ধরনের তথ্য ছড়ানো হতো। লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়ও এ ধরনের ‘কিছু কার্যক্রম’ লক্ষ করা গেছে। ব্লগ পোস্টে বলা হয়, ‘এ নেটওয়ার্কের পেছনে থাকা ব্যক্তিরা তাদের পেজগুলো পরিচালনা, নিজেদের কন্টেন্টের প্রচার ও কৃত্রিমভাবে সংযোজন বাড়াতে এসব ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করত।’
ফেসবুকের সাইবার সিকিউরিটি পলিসির প্রধান নাথানিয়েল গ্লেইচার বলেন, ‘তারা স্থানীয় হিসেবে নিজেদের পরিচয় প্রকাশ এবং রাজনীতিবিদদের নিয়ে আপত্তিকর তথ্য ফাঁস করত।’
তিনি বলেন, একটি তদন্তে দেখা গেছে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কিছু কর্মকাণ্ডের সঙ্গে ইসরায়েলভিত্তিক কোম্পানি আর্কেমেডেস গ্রুপের যোগসূত্র পাওয়া গেছে।