বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে অস্থিরতায় বন্ধ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবক। তবে, ব্যবহারকারীরা বিকল্প উপায়ে ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছে। অনেকেই ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে ফেসবুকে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ভিপিএন ম্যান্টরের গবেষক দল বলছে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশে ভিপিএন ব্যবহার ৫০১৬ শতাংশ বেড়েছে। ভিপিএন ব্যবহারের মাত্রা বাড়ে জুলাইয়ের ২২ তারিখ থেকে যা সর্ব্বোচ্চ মাত্রায় পৌছায় জুলাইয়ের ২৫ তারিখে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সক্রিয় হওয়ার দিনও ভিপিএনের চাহিদা ছিলো ২৫০০ শতাংশ ছিল। ভিপিএন সাধারণত সাইবার স্পেসে নিজের পরিচয় লুকিয়ে ব্লকড কনটেন্ট দেখতে ব্যবহার করা হয়।
অবশ্য ভিপিএন ব্যবহারের পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত রয়েছে। অনেকেই বলেন, ভিপিএন ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীর তথ্য হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। আবার কেউ বলেন, ভিপিএন ব্যবহার করা যায় তবে অবশ্যই পেইড ভিপিএন ব্যবহার করতে হবে। ফ্রি ভিপিএনে যথেষ্ট ঝুঁকি আছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
ইনফোসেকবুলেটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের মার্চ মাসে মাদ্রিদে গনসমাবেশকে কেন্দ্র করে স্পেনে ভিপিএনের চাহিদা ৩৩০ শতাংশ বেড়েছিল। তার দুই সপ্তাহ পর যখন কোর্ট টেলিগ্রামের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তখন আবারও ভিপিএনের চাহিদা ১৫০ শতাংশে পৌঁছেছিল।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গতকাল (২৮ জুলাই) বলেছেন, মেটা এবং টিকটক কর্তৃপক্ষকে বুধবার (৩১ জুলাই) টেলিকম নিয়ন্ত্রকের সাথে একটি বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে এবং তারা যদি উসকানিমূলক ও ভুল তথ্য সম্বলিত বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষেত্রে স্থানীয় আইনের প্রতি সম্মানশীল থাকে তবেই তাদের পরিষেবা পুনরায় চালু করা হবে।
গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) কেবল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পুনরায় চালু হওয়ার পর গতকাল বিকেল ৩ টায় মোবাইল ইন্টারনেট ১০ দিন পর পুনরায় চালু করা হয়েছে।