প্রতিযোগিতার পথ রুদ্ধ করতে অনলাইন অনুসন্ধানে একচেটিয়ে আধিপত্য বজায় রেখে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল’র বিজ্ঞাপন সংগ্রহের কৌশলকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছেন একটি মার্কিন বিচারক। ১০ সপ্তাহ শুনানির পর সোমবার ওয়াসিংটন ডিসির আদালতে অনুষ্ঠিত রায়ে মার্কিন জেলা বিচারক অমিত মেহতা বলেছেন, স্মার্টফোন এবং ব্রাউজারে গুগল ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ দিয়েছে। তিনি তার ২৭৭ পৃষ্ঠার মতামতে লিখেছেন, “অনলাইনে গুগল একটি একচেটিয়াবাদী প্রতিষ্ঠান। সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে একাধিপত্য বজায় রাখার জন্য তারা কাজ করেছে।”
তবে রয়টার্স জানিয়েছে, অ্যালফাবেট এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে।
সোমবারের যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্তটি গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেটের জন্য একটি বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এই রায়ের মাধ্যমে প্রযুক্তি জায়ান্টরা কীভাবে ব্যবসা করে তা পুণর্বিন্যাস করা হচ্ছে।
এর আগে ২০২০ সালে অনলাইন সার্চ মার্কেটের প্রায় ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের জন্য মার্কিন বিচার বিভাগ গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। মার্কিন অ্যান্টিট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ শিল্পে প্রতিযোগিতা জোরদার করার চেষ্টা করার কারণে এটি বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলার মধ্যে এটি একটি একটি। এই মামলায় গুগল’র বিরুদ্ধে অ্যাপল, স্যামসাং, মজিলা এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম দেশটির শীর্ষ প্রসিকিউটর ও মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড এই রায়কে “আমেরিকান জনগণের জন্য ঐতিহাসিক বিজয়” হিসাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “কোনও কোম্পানেই তা সে যত বড় বা প্রভাবশালী হোক না কেন – আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তাই এন্টিট্রাস্ট আইনকে আমাদের বিচার বিভাগ জোরালোভাবে প্রয়োগ করবে।”
ফেডারেল অ্যান্টিট্রাস্ট নিয়ন্ত্রকেরা বিগ টেক কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে অন্যান্য মামলা মুলতুবি করেছে। মেটা প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক সহ, অ্যামাজন ডটকম এবং অ্যাপল ইনক-এর মালিক গুগল’র এর বিজ্ঞাপন ব্যবসায় প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে বেআইনি ও একচেটিয়া পরিচালনার অভিযোগ এনেছে৷ ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসাবে বিভিন্ন ডিভাইসে প্রাক-ইনস্টল করার জন্য গুগল’র বিরুদ্ধে বার্ষিক বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার অভিযোগ এনেছে তারা।