দফায় দফায় দেশকে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন রাখায় সরকার দলীয় আনুগত্যে ইন্টারনেট সেবাদাতা সংগঠন আইএসপিএবি’র নির্বাহী কমিটির পদত্যাগ এবং বৈষম্যহীন নতুন কমিটি দাবি করেছে সাধারণ ব্যবসায়ীরা। এজন্য শনিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও উদ্ভূত পরিস্থিতে আইএসপিএবি’কে ব্যবসায়িদের স্বার্থে সুপথে পরিচালিত করে নতুন কমিটি গঠনে আইএসপি, আইআইজি ও এনটিটিএন থেকে তিন জন করে নয় সদস্যের একটি অন্তবর্তীকালীন কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন সংস্কারবাদী ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীতে সংগঠনটির স্থায়ী অফিসে গিয়ে দ্রুততম সময়ে ভোট নাটকের মঞ্চস্থের মাধ্যমে গঠিত সর্বশেষ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার দাবিতে অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেন শতাধিক আইএসপি ব্যবসায়ী। এসময় আইএসটিএবি’র সাবেক সভাপতি আমিনুল হাকিম, সহ-সভাপতি রাশেদ আমিন বিদ্যুত, বর্তমান কমিটির পরিচালক সাব্বির আহমেদ, ফুয়াদ মুহাম্মদ শরফুদ্দিন, মো. নাছির উদ্দীনও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা সদ্য বিদায়ী সরকারের আমলে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতা আকড়ে থাকা সভাপতি ইমদাদুল হককে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েও তাকে হাজির করতে পারেনি। মুঠোফোনে তাকে বারবার তাগাদা দেয়া হলেও তিনি এতে যোগ দেননি।
সভায় বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা সরাকারের সঙ্গে যোগ সাজশে বর্তমান সভাপতি স্বৈরতান্ত্রিক পরিচালনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বক্তারা। তারা বলেছেন, সদ্য বিদায়ী ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমনন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মোহাম্মাদ এ আরাফাতের সঙ্গে জোট বেধে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনাকে দলীয়করণ, সরকারি টেন্ডারে কাজ বাগিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করার নানা কূটকৌশল বাস্তবায়ন করেছেন। আইএসপিএবি সভাপতির যোগসাজশেই শিক্ষার্থীদের সংস্কার আন্দলনের সময় খোড়া যুক্তি দিয়ে দেশকে ইন্টারনেট ব্লাকআউটের নাটক মঞ্চস্থ করেছেন। এখন আবারো ‘নেটওয়ার্ক দখল’ নিতে রং পরিবর্তন করে পুরো সংগঠনকে ব্যর্থ সংগঠনের ষোলকলা পূর্ণ করতে চলেছেন। তাই আগামী শনিবারের মধ্যে বর্তমান দলীয় কমিটি ক্ষমতা না ছাড়লে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন করে দেশ সংস্কারের মতোই আইএসপিএবি সংস্কারে অন্তবর্তী কমিটি গঠন করা হবে।