এবার গ্রেফতার দেখানো হলো সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক-কে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা হতে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় বুধবার (১৪ আগস্ট) দিনগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি ছাড়াও সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতককে একই স্থান থেকে আটক করা হয়েছে। এই তিনজনকেই রাজধানীর পল্টনে এক রিকশাচালককে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেন্টু মিয়া জানিয়েছেন, গত ১৯ জুলাই পল্টনে এক রিকশাচালককে হত্যা করার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ফাতেমা খাতুন নামের একজন নারী। এই মামলায় গ্রেফতারের পর এ তিন নেতাকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৬ আগস্ট বিকেলে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দিল্লি যাওয়ার সময় জুনাইদ আহমেদ পলককে আটকে দেওয়া হয়েছিল।
১৩ আগস্ট জুনাইদ আহমেদ পলক ও তার স্ত্রী আরিফা জেসমিন কনিকার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
জুনাইদ আহমেদ পলক ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগের নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়া ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশ সরকারের ডাক এবং টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই রাজনীতিক।