নগদে যে পরিমাণ টাকা জমা আছে, নিয়মের বাইরে তার চেয়ে বেশি ডিজিটাল অর্থ তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি আরও বলেছেন মোবাইলে আর্থিক সেবার প্রতিষ্ঠান নগদের মাধ্যমে গ্রাহকেরা যাতে প্রতারিত না হন, সে জন্য প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, নগদের মালিকানা ও অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন আছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায় ও কেউ প্রতারিত না হন, সে জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ করা প্রশাসক আজ নগদের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এসব কথা বলেন।
আগের সরকারের সময় নগদকে অন্যায্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং সরকারি সব ভাতা এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে, এ কথা উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, নগদে প্রাথমিকভাবে প্রশাসক দেওয়া হলেও এর সব কার্যক্রম আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চলবে।
গভর্নর বলেন, ‘ভবিষ্যতে নগদ আরও বড় আকারে গড়ে উঠুক এটা আমাদের চাওয়া। তবে সেটা নিয়মের মধ্যে হতে হবে, এটিকে স্বচ্ছভাবে চলতে হবে। বাজারে সম প্রতিযোগিতা করে বড় হতে হবে। ভবিষ্যতে সব লেনদেন বিকাশ ও নগদে হোক, এটা আমরা চাই।’
নগদের মালিকানা এখন কার, এই প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, নগদ ডাক বিভাগের সেবা। এখন ডাক বিভাগ এর পুরোটার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। পুনর্গঠন করে ডাক বিভাগ নগদের শেয়ার বিক্রি করে দেবে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, নগদের ওপর ডাক বিভাগের কোনো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। ডিগবাজি খেয়ে একবার আর্থিক প্রতিষ্ঠান, আরেকবার ডিজিটাল ব্যাংক হতে চেয়েছে। এখন পুরো প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষা হবে। নগদের প্রকৃত পরিস্থিতি বের করতে হবে। এরপর নগদকে পুনর্গঠন করে ভবিষ্যতে বেসরকারি খাতেই ছেড়ে দেওয়া হবে।
নগদকে দেওয়া ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘সব লাইসেন্স পুনর্বিবেচনা করা হবে। কেউ যোগ্য হলে তারা লাইসেন্স পাবে। আমরা এ নিয়ে কোনো পক্ষপাতিত্ব করব না।’