বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে গ্রিনল্যান্ডের ইলুলিসাত শহরে আগামী ২৩ মে শুরু হতে যাচ্ছে ৫ দিনব্যাপী ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডারস (ওয়াই জি এল) ইম্প্যাক্ট গ্রিনল্যান্ড এক্সপিডিশন’ ২০১৯ শীর্ষক কর্মসূচি।
বাংলাদেশ কম কার্বন উৎপাদনকারী দেশ হওয়া সত্ত্বেও, সারাবিশ্বে ইন্ডিস্ট্রিয়ালাইজেশনের প্রভাব ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে জলবায়ুর যে পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে- তার প্রভাব বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রত্যক্ষ করতে শুরু করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের ঝুঁকি ও তা নিরসনে বিশ্ব সম্প্রদায়ের করণীয় সম্পর্কে বিশ্বের তরুণ নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরবেন বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নানামুখী কার্যক্রম ও উদ্যোগ সম্পর্কেও তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরবেন।
সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী পলক বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের পরিলক্ষিত হওয়ার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশীয় অর্থায়নে ২০০৯ সালেই ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি এন্ড একশন প্লান’ সম্পর্কে অবহিত করবেন এবং এই প্লানের সার্বিক বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়বদ্ধতা ও সহযোগিতার কামনা করবেন। পাশাপাশি কিভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের এই স্থানীয় বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় সমন্বিতভাবে কাজ করা যায়, তাও তিনি তুলে ধরবেন।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ইয়ং গ্লোবাল লিডারস ফোরামের উদ্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত ২০ জন তরুণ নেতা গ্রিনল্যান্ডের ইলুলিসাত শহরে এবারের এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবসমূহ বিশ্বের তরুণ নেতৃবৃন্দ যাতে খুব কাছ থেকেই প্রত্যক্ষ করতে পারেন এবং তা মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ করণীয় ঠিক করতে পারেন,সেজন্যই এবারের আয়োজনের ভেন্যু হিসেবে এবার গ্রিনল্যান্ডকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বলে আয়োজক সুত্রে জানা গেছে। ২৩ মে থেকে শুরু হওয়া ‘ওয়াইজিএল ইম্প্যাক্ট গ্রিনল্যান্ড এক্সপিডিশন’ শীর্ষক আয়োজনটি চলবে আগামী ২৭ মে পর্যন্ত।
উল্লেখ্য যে, আগামীর পৃথিবী রূপায়নে সম্ভাব্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম’ ২০১৬ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ‘ইয়াং গ্লোবাল লিডার’ হিসেবে মনোনীত করেছ।সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক এই থিংকট্যাংক প্রতি বছরই সারা পৃথিবী থেকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ঔজ্জ্বল্য ছড়ানো ৪০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিবর্গকে পাঁচ বছরের জন্য এ সম্মাননা প্রদান করে থাকে।