দেশের টেলিকম ও ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে ‘আইনের দোহাই দিয়ে আমরা বিপদ ডেকে এনেছি’ বলে মনে করেন প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির। একইসঙ্গে নাগরিকদের অসচেতনতায় সোশ্যাল মিডিয়াগুলো আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা মানছে না বরং সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করেছে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার রাজধানীর কাওরানবাজারে বেসিস সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপে এমন অভিমত তুলে ধরেন তিনি। সিভিল রিফর্ম বাংলাদেশ ২.০ আহ্বায়ক ফাহিম মাশরুর এর সঞ্চালনায় নতুন বাংলাদেশে আড়িপাতা, গোপনীয়তার অধিকার ও বাক স্বাধীনতা নিয়ে এই নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে সূচনা বক্তব্যে ফাহিম মাশরুর বলেন, টেলিকম অপারেটররা লাইসেন্স গাইডলাইনের কারণে সরাসরি ফোন কল ট্যাপ করার সুবিধা দিতে বাধ্য। এছাড়াও সংবিধান ও আইন লঙ্ঘন করে নির্দিষ্ট স্থান বা টর্গেট ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক ইন্টারসেপ্ট করে ও সরাসরি ডিভাইসে এক্যাকসেস নেয়া হয়। কিন্তু কী সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়; এমন পরিস্থিতিতে আইনি অধিকার নেয়ার থাকলেও কোনো নাগরিকই সেই সুযোগটা নিয়েছেন বলে জানা যায়নি। তাই এ বিষয়ে আমাদের করণীয় নিয়ে ভাবতে হবে।
প্রথম বক্তা হিসেবে সুমন আহমেদ সাবির বলেন, বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যা ও ডিভাইস ব্যবহারের কারণে দেশের সবার ফোন রেকর্ড করার সক্ষমতা এনটিএমসি’র নেই। তবে কোনো ভিআইপি’র সঙ্গে যদি কথা বলেন তিনিও ফেঁসে যান।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ইন্টারনেট ট্রাফিক ট্র্যাক করছে ডিওআইটি। তারা যেকোনো কন্টেন্ট মনিটরিং ও ডিলিট করতে পারেন। এজন্য তারা আমাদের অফিসে বিশেষ ডিভাইস ব্যবহারে বাধ্য করেন এবং তাতে তাদের প্রবেশাধিকার দিতে বাধ্য করা হয়। এমনকি সেই ডিভাইস স্থানান্তরও করা যায় না। তাই ছাত্র অভ্যুত্থানের সময় জিমেইল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এবার ইউটিউব বন্ধ করা যায়নি। সরকারের সঙ্গে কিছু কিছু সোশ্যাল মিডিয়া কম্প্রমাইজ করেছে যা মাহমুদুল মান্না’র কল রেকর্ড ফাঁস করা সম্ভব হয়েছে। কেননা, ওই কলটি দুইটি দেশের টার্মিনাল ঘুরেছে। আগে যেসব ডোমেইন বন্ধ ছিলো তা এখনো খোলা হয়নি। সবার মধ্যে যেনো এগুলো মেনে নেয়ার মানসিকতা তৈরি হয়ে গেছে।