বিশাল আকারের একটি ড্রোন পরীক্ষা করার কথা জানিয়েছে চীন, যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মালামাল বহন করতে সক্ষম। দেশটির এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলছে, ড্রোনটি ৩ দশমিক ২ টন কার্গো বহন করতে পারে। খবর রয়টার্স।
চীনের হুয়ান প্রদেশের একটি কোম্পানি এসএ৭৫০ইউ মডেলের চালকবিহীন ড্রোনটি নির্মাণ করেছে। এটি সম্প্রতি ৪০ মিনিটের একটি পরীক্ষামূলক ফ্লাইট সম্পন্ন করে। ড্রোনটি একটি একক ট্রিপে ৭ হাজার ৩০০ মিটার (প্রায় ২৪ হাজার ফুট) উচ্চতায় উড়তে পারে এবং ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত (১ হাজার ৩৬৭ মাইল) পর্যন্ত ভ্রমণ করতে পারে, ফলে এটি দীর্ঘ দূরত্ব ও বড় মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ড্রোনটি বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য দরকার হতে পারে, যেমন পণ্য পরিবহন বা নজরদারি পরিচালনা করা।
বিশ্বের শীর্ষ ড্রোন প্রস্তুতকারী দেশ চীন নতুন করে ড্রোনের পরীক্ষা বাড়াচ্ছে, কারণ তারা আকাশপথের বিধিনিষেধ শিথিল করছে এবং কম উচ্চতায় উড়তে পারে এমন বিমান শিল্প গড়ে তোলার জন্য প্রণোদনা দিচ্ছে।
দেশটির সরকার আশা করছে, এ শিল্প ২০৩০ সালের মধ্যে ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ২৮ হাজার কোটি ডলার) পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এসএ৭৫০ইউর আগে এ মাসের শুরুতে সিচুয়ানভিত্তিক কোম্পানির একটি ড্রোন পরীক্ষা করা হয়, যা দুই টন মালামাল বহন করতে পারে। দুই মাস আগে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পস একটি ড্রোন পরীক্ষা করে, যা ৭০০ কেজি মাল বহন করতে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটি আরো বড় ও বেশি সক্ষমতার ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
তারা বলছেন, কার্গো ড্রোন ডেলিভারির গতি বাড়াতে ও পরিবহন খরচ কমাতে সহায়ক হবে। এছাড়া এগুলো জনাকীর্ণ শহরে বিমানবন্দরের সুবিধা নেই এমন জায়গায়ও কাজ করতে পারে। চীন সম্প্রতি বাণিজ্যিক সরবরাহের জন্য ড্রোন ব্যবহার শুরু করেছে। যেমন মে মাসে একটি পরিষেবা হাইনান দ্বীপ থেকে গুয়াংডং পর্যন্ত তাজা ফল পরিবহন করেছিল।