ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের ডোমেইন নাম নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশের সঙ্গে সাত বছর ধরে চলছিল বিরোধ। দক্ষিণ আমেরিকার ভৌগোলিক অঞ্চল অ্যামাজনের নামে মার্কিন এ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির নাম হওয়ার কারণেই মূলত এ বিরোধের সৃষ্টি। সাত বছরব্যাপী এ লড়াইয়ে শেষ জয় হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, দক্ষিণ আমেরিকার আধা ডজনের বেশি দেশের সঙ্গে সাত বছর বিরোধের পর অ্যামাজনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাসাইন্ড নেমস অ্যান্ড নাম্বারস (আইসিএএনএন)।
এ বিরোধের পেছনে সমর্থন দিয়েছে অ্যামাজন কো-অপারেশন ফর ট্রিটি অর্গানাইজেশন (অ্যাক্টো) নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। অ্যামাজন অববাহিকার উন্নয়নে অনেক দিন ধরে কাজ করছে সংস্থাটি। সংস্থাটির সদস্য দেশগুলো হলো ব্রাজিল, পেরু, বলিভিয়া, কলম্বিয়া, একুয়েডর, গায়ানা, সুরিনাম ও ভেনিজুয়েলা।
কয়েক বছর ধরেই অ্যাক্টোকে তাদের অভিযোগ থেকে সরে আসতে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল জেফ বেজোসের অ্যামাজন। একসময় তারা সংস্থাটির অন্যতম সদস্য দেশ ব্রাজিল ও পেরুকে উপহারস্বরূপ ৫০ লাখ ডলারও প্রস্তাব করে। এ দুটি দেশই মূলত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল।
সম্প্রতি আইসিএএনএন কর্তৃক অ্যামাজনের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হওয়ার বিষয়ে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয়গুলোর কোনো সুরাহা করা হয়নি।
আইসিএএনএন জানায়, জনসাধারণের মন্তব্যের জন্য ৩০ দিন সময় রাখা হবে। এ সময়ের পর ‘ডট অ্যামাজন’ ডোমেইন নামটিকে ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের জন্য চূড়ান্তভাবে স্বীকৃতি দেয়া হবে।