বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এক দশক ধরে ক্রিপ্টোকারেন্সি (ডিজিটাল বা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা) ব্যবহারের প্রচলন দেখা যায়। অনেক দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে আইনগত বাধা রয়েছে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সির মতো ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার বাড়ছে। গত বছর সবচেয়ে বেশি ভারত ও নাইজেরিয়ায় ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার বেড়েছে। এক প্রতিবেদনে এমন মুদ্রার ব্যবহার বাড়ার প্রবণতার কথা জানা যায়।
ব্লকচেইন অ্যানালিটিকস কোম্পানি চেনালাইসিসের একটি প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে ১৫১টি দেশে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের নানা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। কোন দেশ কতটা ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রহণ করছে, সে তালিকাও প্রকাশ করা হয়।
চারটি বিভাগে বিভিন্ন দেশকে তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। তালিকার শীর্ষে আছে ভারত, নাইজেরিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। কোন দেশ কেমন ক্রিপ্টো গ্রহণ করছে, সেই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫ দেখানো হয়েছে। বাংলাদেশের চেয়ে পেছনে আছে মিয়ানমার, তাদের অবস্থান ৭৮। পাকিস্তানের অবস্থান ৯, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৭২, নেপালের অবস্থান ৭১ নম্বরে। তালিকা অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪, কানাডা ১৮, রাশিয়া ৭, চীন ২০, জাপান ২৩ ও অস্ট্রেলিয়া ৩৯ নম্বরে।
চেনালাইসিসের বৈশ্বিক সূচকের শীর্ষ ২০টি দেশের মধ্যে ৭টি মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশ। ভারতে দুই বছর ধরে ডিজিটাল মুদ্রা ব্যবহারের বেশি প্রবণতা দেখা গেছে। ভারত ২০১৮ সাল থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দেশটির আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নিয়ম মেনে না চলার জন্য ৯টি অফশোর ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছিল।
চেনালাইসিসের গবেষণাপ্রধান এরিক জার্ডিন বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ভারতে ক্রিপ্টো বেশ ভালোভাবেই বিস্তৃত হচ্ছে। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ বাইন্যান্সকে ভারতে জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়। অন্যদিকে ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ কুকয়েন কেও জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।
ব্যবহারের আইনগত অনুমতি না থাকলেও তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৫। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২১ সালে ব্যবহারকারীদের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চ্যুয়াল মুদ্রায় লেনদেনে বিরত থাকতে বলেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা কোন দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষের দ্বারা ইস্যু করা নয় বলে তখন ঘোষণাপত্র জারি করেছিল।