বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও এর তথ্য মতে, বিশজন লোক, যারা আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রতি তিন সেকেন্ডে তাদের মধ্যে প্রায় একজন প্রাণঘাতী হন। এমনকি প্রতি ৪০ সেকেন্ডে বিশ্বে একজন মানুষ আত্মহত্যা করেন। প্রতি বছর ১০ লাখের বেশি মানুষ মারা যান আত্মহত্যা করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পড়াশোনার চাপ, পরীক্ষায় ব্যর্থতা বা অন্য কোনো মানসিক চাপের ফলে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত আত্মহত্যা করছে। এগুলো বন্ধ করার জন্য অনেক চেষ্টা করা হলেও তা কার্যকর হচ্ছে না।
এটি বন্ধ করতে উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখন্ড বিশ্ববিদ্যালয় মোবাইল অ্যাপ ও সেন্সর সজ্জিত রিস্টব্যান্ড তৈরির কাজ। এই দুটিই একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। তারা বলছেন কারো মনে আত্মহত্যার চিন্তা এলেই এই মোবাইল অ্যাপটি চালু হয়ে যাবে।
মানসিক চাপ ও আত্মহত্যার চিন্তার গ্রাফ ৫০ শতাংশে পৌঁছালে মোবাইলের ফিড স্বজনদের নম্বরে সতর্ক বার্তা পাঠাবে। বার্তায় লেখা থাকবে যে, তাদের একজন আত্মহত্যার পথে। স্ট্রেস গ্রাফ ৯০ শতাংশে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রতি ঘণ্টায় বার্তা আসতে শুরু করবে।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া স্মার্টফোন অ্যাপ তৈরি করেছে। ১৪ থেকে ১৯ বছর বয়সী দক্ষিণ কোরিয়ার অর্ধেকেরও বেশি কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যার কথা চিন্তা করে। এমনকি বছরে অনেক মানুষ মারা যায় আত্মহত্যা করে। যার মধ্যে স্কুল পড়ুয়াই বেশি। দেশের সরকার আত্মহত্যা ঠেকাতেই এমন অ্যাপ তৈরি করে।