বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যার মামলায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ সাদাত আলমাস কবীরের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা না থাকায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গারদখানা থেকে তিনি মুক্ত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাইনুল ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপর দিকে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।
শুনানিতে তার আইনজীবী বলেন, ঘটনার সময় তিনি বিদেশে ছিলেন। বিদেশের প্রয়োজনীয় কাগজ আদালতকে দেখান আলমাসের আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসেন তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এরপর তার জামিননামা দাখিল করেন আইনজীবী। আর কোনও মামলা না থাকায় আদালতের গারদখানা থেকে তিনি জামিনে মুক্ত হন।
এর আগ সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিনগত রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট গুলিতে নিহত হন শিক্ষার্থী আক্তার হোসেন (২৬)। এ ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর আক্তার হোসেনের বাবা ওবায়েদুল হক রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১০০-১৫০ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলায় আলমাস কবীরকে সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহযোগী ও অর্থের জোগানদাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আলমাস কবীর ২০০৬ সাল থেকে দেশের অন্যতম ইন্টারনেটভিত্তিক তথ্য-প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মেট্রোনেটের সিইও ছিলেন। তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্দার্ন ইউনিভার্সিটিরও অতিথি শিক্ষক ছিলেন। এছাড়াও আইইউবি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।