২০২২ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের মার্চে শেষ হওয়ার কথা ছিল পাবনার রূপপুরে স্থাপিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের টেলিযোগাযোগ স্থাপনের কাজ। এজন্য প্রক্বলিত ব্যয় ধরা হয়েছিলো ৩৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। কিন্তু প্রকল্প বাস্তাবয়ন মেয়াদ শেষেও প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব, উভয় ক্ষেত্রে অগ্রগতি মাত্র ০.০১ শতাংশ।
এমন দুরবস্থার মধ্যে প্রকল্পের ব্যয় ৯১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। প্রকল্প বাস্তবায়ন বাবদ আরো ৩৪৫ কোটি টাকা ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিসেবা প্রতিষ্ঠানটি।
এতে পরিকল্পনা কমিশনের প্রশ্নের মুখে পড়লেও কয়েক দফা বৈঠক শেষে এই ব্যয় প্রস্তাব অনুমোদন দিতে প্রকল্পের সারসংক্ষেপ পরিকল্পনা উপদেষ্টার টেবিলে পাঠানো হয়েছে। মূল প্রকল্প বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন, পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) রেহানা পারভীন। প্রকল্পটি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ১৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দসহ চলমান প্রকল্পের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অপরদিকে প্রকল্প পরিচালক শফিকুর জানিয়েছেন, ২০২২ সালে যখন প্রকল্পটি অনুমোদন পায় তখন ডলারের মূল্য ছিল ৮৪ টাকা, যেটি বর্তমানে ১২০ টাকা হয়েছে। এছাড়া ফাইবার অপটিক্যালের ভাড়াও যোগ হচ্ছে বলে এই খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সূত্রমতে, প্রকল্পটি ১ শতাংশও বাস্তবায়ন না করে বর্তমানে এর ব্যয় ৩৪৫ কোটি টাকা (৯১.০৫ শতাংশ) বাড়িয়ে মোট ৭২৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদও আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিটিসিএল বাস্তবায়নাধীন ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। তড়িঘড়ি করে প্রকল্পটির অনুমোদন নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তিই করতে পারেনি বিটিসিএল।